ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী-শ্বশুর ও শ্যালককে পিটিয়ে জখম : রেফার্ড ১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা কয়রাডাঙ্গার ঘরজামাই নাসিরের সাথে হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারীর অবৈধ সম্পর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রী-শ্বশুর ও তার শ্যালককে মারপিট ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে ঘরজামাই নাসির। চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারীর সাথে নাসিরের পরকিয়া সম্পর্কের বিষয়টি নিষেধ করায় তাদেরকে মারধর করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নাসিরের স্ত্রী লিপি খাতুন (২৬), লিপির বাবা হানিফ মন্ডল (৬০) ও ভাই মাহাবুল (৪০)। এদের মধ্যে শ্যালক মাহাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে, এর আগেও এ ঘটনায় নাসিরের পরকিয়া প্রেমিকা হরিজন সম্প্রদায়ের নারী চম্পার বাড়িতেই তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করে নাসির।
নাসিরের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, নাসিরের সাথে দশ বছর আগে বিয়ে হয়। নাসির চাঁদপুর জেলার মতলব থানার আহমেদ রেজার ছেলে। বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে প্রতিদিন মারধর করে। গত দু’বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার হরিজন সম্প্রদায়ের চম্পার সাথে মেলামেশা করে। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থাকতো না নাসির। পরে চম্পার মেয়ে আমার কাছে ফোন দিয়ে জানায় তোমার স্বামী আমাদের এখানে থাকে। এ নিয়ে চম্পার সাথে লিপি খাতুনের বিবাদ হয়ে আসছে।
লিপি খাতুন আরও বলেন- গতকাল দুপুরে নাসিরের ভাইয়ের মেয়ে আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। আমি তার কাছে নাসির ও চম্পার বিষয়টা বলি। এই নিয়ে নাসির আমাকে বাড়ুন দিয়ে মারধর করে। এ সময় আমার বাবা হানিফ মন্ডল আমাকে ঠেকাতে আসলে তাকেও ঘুষি মেরে দাত ভেঙে দেয়। পরে আমার ভাই মাহাবুল ঘটনা শোনার পরে নাসিরের কাছে আমাকে ও আমার বাবাকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে নাসিরের সাথে মাহাবুলের বাকবন্ডিতা হয়। পরে মাহাবুলকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মাহাবুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মাহাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আজ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করবে বলে জানান লিপি খাতুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রী-শ্বশুর ও শ্যালককে পিটিয়ে জখম : রেফার্ড ১

আপলোড টাইম : ১২:২৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮

আলমডাঙ্গা কয়রাডাঙ্গার ঘরজামাই নাসিরের সাথে হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারীর অবৈধ সম্পর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রী-শ্বশুর ও তার শ্যালককে মারপিট ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে ঘরজামাই নাসির। চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে হরিজন সম্প্রদায়ের এক নারীর সাথে নাসিরের পরকিয়া সম্পর্কের বিষয়টি নিষেধ করায় তাদেরকে মারধর করে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নাসিরের স্ত্রী লিপি খাতুন (২৬), লিপির বাবা হানিফ মন্ডল (৬০) ও ভাই মাহাবুল (৪০)। এদের মধ্যে শ্যালক মাহাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এদিকে, এর আগেও এ ঘটনায় নাসিরের পরকিয়া প্রেমিকা হরিজন সম্প্রদায়ের নারী চম্পার বাড়িতেই তার স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করে নাসির।
নাসিরের স্ত্রী লিপি খাতুন বলেন, নাসিরের সাথে দশ বছর আগে বিয়ে হয়। নাসির চাঁদপুর জেলার মতলব থানার আহমেদ রেজার ছেলে। বিয়ের পর থেকেই সে আমাকে প্রতিদিন মারধর করে। গত দু’বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার হরিজন সম্প্রদায়ের চম্পার সাথে মেলামেশা করে। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থাকতো না নাসির। পরে চম্পার মেয়ে আমার কাছে ফোন দিয়ে জানায় তোমার স্বামী আমাদের এখানে থাকে। এ নিয়ে চম্পার সাথে লিপি খাতুনের বিবাদ হয়ে আসছে।
লিপি খাতুন আরও বলেন- গতকাল দুপুরে নাসিরের ভাইয়ের মেয়ে আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। আমি তার কাছে নাসির ও চম্পার বিষয়টা বলি। এই নিয়ে নাসির আমাকে বাড়ুন দিয়ে মারধর করে। এ সময় আমার বাবা হানিফ মন্ডল আমাকে ঠেকাতে আসলে তাকেও ঘুষি মেরে দাত ভেঙে দেয়। পরে আমার ভাই মাহাবুল ঘটনা শোনার পরে নাসিরের কাছে আমাকে ও আমার বাবাকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করলে নাসিরের সাথে মাহাবুলের বাকবন্ডিতা হয়। পরে মাহাবুলকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মাহাবুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, মাহাবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আজ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করবে বলে জানান লিপি খাতুন।