ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

নানা সমস্যায় জর্জরিত : কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় পুরোটাই ভেস্তে যেতে বসেছে প্রকল্পটি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার পারকুলায় আবাসন প্রকল্পের ১৪০টি পরিবারের মধ্যে টিকে আছে ৪০টি
সরকারি কম্বল আসলেও আবাসনের ছিন্নমূলদের কাছে তা পৌঁছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়ের আবাসনে ভরপুর বসবাসকারীদের অধিকাংশই কেউ নেই। ১৪০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে এখন ৪০টি পরিবার কোনোরকম টিকে আছে। আলমডাঙ্গার পারকুলায় আবাসন প্রকল্পটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এক সময়ের আবাসনে ভরপুর বসবাসকারীদের অধিকাংশই কেউ নেই। প্রতিবছর সরকারি কম্বল এসে ভরে গেলেও আবাসনের ছিন্নমূলদের পর্যন্ত তা পৌঁছে না গত চার বছর। সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল এই মানুষগুলো চলতি বছর হাড়কাঁপানো শীতে অতি কষ্টে রাত ও দিন পার করছে। ফলে এ আবাসন প্রকল্পের পুরোটাই প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে গত ২০০৮ সালে প্রায় ১৫ বিঘা জমি জুড়ে ভূমিহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এতে ১৪টি ব্যারাকে মোট ১৪০টি পরিবারের বসবাসের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১২০ টন চালের বিনিময়ে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। এরপর সেনাবাহিনী আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করে। এ সময় ১৪০টি ভূমিহীন পরিবার আনন্দ তাদের সন্তানদের নিয়ে আবাসনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এরপর থেকে আবাসনে বিভিন্ন এলাকার মাস্তানদের উৎপাত বেড়ে যায়। নেশাখোররা জোর করে আবাসনে আড্ডা বসাতে থাকে। উঠতি বয়সি মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে একেকটি পরিবার। এ সময় আবাসনের প্রতিবাদী পুরুষ মতিয়ার রহমান আড্ডায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। ২০১৪ সালে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। এরপর থেকে একটি একটি করে পরিবার আবাসন ছাড়তে থাকে। এভাবে ১০০টি পরিবার আবাসন ছেড়ে চলে গেছে। এখন ৪০টি পরিবার কোনো রকমে টিকে আছে। তবে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা তারা পান না।
আবাসনের বাসিন্দা রাকিবুলের স্ত্রী বিউটি খাতুন বলেন, এলাকায় প্রচ- শীত পড়লেও সরকারি কোনো লোক আমাদের কম্বল দেন না। বয়োবৃদ্ধ আলীম উদ্দিন বলেন, মতিয়ার রহমান যখন বেঁচে ছিলেন তখন আমরা কম্বল পেতাম। চার বছর ধরে আর পাই না।
এব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান বলেন, প্রথম কোটায় পাঁচশ কম্বল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আসলে পারকুলা আবাসনের দুস্থদেরকে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কালিদাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে যোগযোগ করে পাওয়া যায়নি। (তথ্য সুত্র-ইত্তেফাক)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

নানা সমস্যায় জর্জরিত : কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় পুরোটাই ভেস্তে যেতে বসেছে প্রকল্পটি

আপলোড টাইম : ১১:১৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮

আলমডাঙ্গার পারকুলায় আবাসন প্রকল্পের ১৪০টি পরিবারের মধ্যে টিকে আছে ৪০টি
সরকারি কম্বল আসলেও আবাসনের ছিন্নমূলদের কাছে তা পৌঁছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময়ের আবাসনে ভরপুর বসবাসকারীদের অধিকাংশই কেউ নেই। ১৪০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে এখন ৪০টি পরিবার কোনোরকম টিকে আছে। আলমডাঙ্গার পারকুলায় আবাসন প্রকল্পটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। এক সময়ের আবাসনে ভরপুর বসবাসকারীদের অধিকাংশই কেউ নেই। প্রতিবছর সরকারি কম্বল এসে ভরে গেলেও আবাসনের ছিন্নমূলদের পর্যন্ত তা পৌঁছে না গত চার বছর। সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল এই মানুষগুলো চলতি বছর হাড়কাঁপানো শীতে অতি কষ্টে রাত ও দিন পার করছে। ফলে এ আবাসন প্রকল্পের পুরোটাই প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামে গত ২০০৮ সালে প্রায় ১৫ বিঘা জমি জুড়ে ভূমিহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এতে ১৪টি ব্যারাকে মোট ১৪০টি পরিবারের বসবাসের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১২০ টন চালের বিনিময়ে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। এরপর সেনাবাহিনী আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করে। এ সময় ১৪০টি ভূমিহীন পরিবার আনন্দ তাদের সন্তানদের নিয়ে আবাসনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এরপর থেকে আবাসনে বিভিন্ন এলাকার মাস্তানদের উৎপাত বেড়ে যায়। নেশাখোররা জোর করে আবাসনে আড্ডা বসাতে থাকে। উঠতি বয়সি মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে একেকটি পরিবার। এ সময় আবাসনের প্রতিবাদী পুরুষ মতিয়ার রহমান আড্ডায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। ২০১৪ সালে তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। এরপর থেকে একটি একটি করে পরিবার আবাসন ছাড়তে থাকে। এভাবে ১০০টি পরিবার আবাসন ছেড়ে চলে গেছে। এখন ৪০টি পরিবার কোনো রকমে টিকে আছে। তবে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা তারা পান না।
আবাসনের বাসিন্দা রাকিবুলের স্ত্রী বিউটি খাতুন বলেন, এলাকায় প্রচ- শীত পড়লেও সরকারি কোনো লোক আমাদের কম্বল দেন না। বয়োবৃদ্ধ আলীম উদ্দিন বলেন, মতিয়ার রহমান যখন বেঁচে ছিলেন তখন আমরা কম্বল পেতাম। চার বছর ধরে আর পাই না।
এব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান বলেন, প্রথম কোটায় পাঁচশ কম্বল মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আসলে পারকুলা আবাসনের দুস্থদেরকে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কালিদাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে যোগযোগ করে পাওয়া যায়নি। (তথ্য সুত্র-ইত্তেফাক)