ইপেপার । আজ রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গ্রাম্য ডাক্তার আটক, ইউপি সদস্য পলাতক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৬৫১ বার পড়া হয়েছে

মহেশপুরে এক সপ্তাহে স্কুলছাত্রীসহ ধর্ষিত তিন
সমীকরণ ডেস্ক: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে গত এক সপ্তাহে স্কুলছাত্রী, গৃহবধূসহ তিনজন ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক গ্রাম্য ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে চিকিৎসার অজুহাতে গ্রাম্য ডাক্তার তারেক জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই ভিকটিম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ৩ জানুয়ারি একটি মামলা করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাক্তারকে আটক করে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নেপা ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে ফুসলিয়ে সেজিয়া গ্রামের তরিকুলের বাড়িতে নিয়ে এক মেম্বারসহ তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতে মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। এ মামলায় আসামিরা হলো সেজিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিম (৩৭), যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম (৩০) এবং যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন (৩৫)। আসামিরা পলাতক রয়েছে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি বেড়েরমাঠ গ্রামে মুজিবার রহমানের ছেলে গাজী মিয়া ফতেপুর শামছুদ্দিন সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরদিন থানায় মামলা করতে আসার পথে স্থানীয় নেতারা সালিশ করার আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই সুযোগে আসামি গাজী ঢাকায় পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ভিকটিমের মা বিদেশ থাকায় বখাটে গাজী ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছি।
এব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, দুই ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এক আসামি আটক আছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গ্রাম্য ডাক্তার আটক, ইউপি সদস্য পলাতক

আপলোড টাইম : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮

মহেশপুরে এক সপ্তাহে স্কুলছাত্রীসহ ধর্ষিত তিন
সমীকরণ ডেস্ক: ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে গত এক সপ্তাহে স্কুলছাত্রী, গৃহবধূসহ তিনজন ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক গ্রাম্য ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২ জানুয়ারি মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে চিকিৎসার অজুহাতে গ্রাম্য ডাক্তার তারেক জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এই ভিকটিম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় ৩ জানুয়ারি একটি মামলা করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডাক্তারকে আটক করে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দিবাগত রাতে নেপা ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে ফুসলিয়ে সেজিয়া গ্রামের তরিকুলের বাড়িতে নিয়ে এক মেম্বারসহ তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতে মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। এ মামলায় আসামিরা হলো সেজিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিম (৩৭), যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম (৩০) এবং যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন (৩৫)। আসামিরা পলাতক রয়েছে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি বেড়েরমাঠ গ্রামে মুজিবার রহমানের ছেলে গাজী মিয়া ফতেপুর শামছুদ্দিন সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরদিন থানায় মামলা করতে আসার পথে স্থানীয় নেতারা সালিশ করার আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই সুযোগে আসামি গাজী ঢাকায় পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ভিকটিমের মা বিদেশ থাকায় বখাটে গাজী ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছি।
এব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, দুই ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এক আসামি আটক আছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।