ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশী নিহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: সৌদি আরবের জিজানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় দশ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এত আহত হয়েছেন আরও দশজন। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে জেদ্দা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে জিজান প্রদেশে ইয়েমেন সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহীন শাজাহান নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশী জানিয়েছেন, তার ভাই আমির হোসেনও রয়েছেন নিহতদের মধ্যে। হতাহতরা সবাই আল্ ফাহাদ নামে একটি সৌদি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে কোম্পানির পিকআপে করে তারা মোট ২০ জন কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় পেছন থেকে একটি গাড়ির ধাক্কায় পিকআপটি উল্টে যায়। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও দুই জন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। আল ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ফরিদুল ইসলাম নিহতদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশীর নাম জানাতে পেরেছেন। এরা হলেন সিরাজগঞ্জের দুলাল, টাঙ্গাইলের সফিকুল, নারায়ণগঞ্জের মতিউর রহমান, নরসিংদীর আমির হোসেন ও হৃদয় এবং কিশোরগঞ্জের জসিম। এদিকে সৌদি আরবের আলহাসা কাতার রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদল (৩৬) নামে আরেক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় বলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জানিয়েছেন। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আমির হোসেন (৫০) এর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। ওই গ্রামের মৃত আবুল কালাম মিয়ার পুত্র আমির হোসেন সাড়ে ৮ বছর পূর্বে সৌদি আরবে আল ফাহাদ কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ৬টায় সৌদি আরবে জিজান প্রদেশে নরসিংদীর আমির হোসেন ও মো. ইদন মিয়াসহ ১০ বাংলাদেশী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সৌদি সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে তীব্র গতিতে আল ফাহাদ কোম্পানির পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বহনকারী গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গাড়িটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আমির হোসেন ও মো. ইদনসহ ১০ বাংলাদেশী নিহত হন। আহত হয় আরও ১৫ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অপর আহত মো. ইদন মিয়ার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার সাপমারা গ্রামে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়, আমির হোসেন খুব ভাল মানুষ এবং সংসারের উপার্জনকারী ছিলেন। এখন এ সংসারটি কিভাবে চলবে এ নিয়ে চিন্তিত সকলে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বাংলাদেশী নিহত

আপলোড টাইম : ১১:০২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: সৌদি আরবের জিজানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় দশ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এত আহত হয়েছেন আরও দশজন। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে জেদ্দা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে জিজান প্রদেশে ইয়েমেন সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহীন শাজাহান নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশী জানিয়েছেন, তার ভাই আমির হোসেনও রয়েছেন নিহতদের মধ্যে। হতাহতরা সবাই আল্ ফাহাদ নামে একটি সৌদি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে কোম্পানির পিকআপে করে তারা মোট ২০ জন কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় পেছন থেকে একটি গাড়ির ধাক্কায় পিকআপটি উল্টে যায়। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান আরও দুই জন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। আল ফাহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ফরিদুল ইসলাম নিহতদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশীর নাম জানাতে পেরেছেন। এরা হলেন সিরাজগঞ্জের দুলাল, টাঙ্গাইলের সফিকুল, নারায়ণগঞ্জের মতিউর রহমান, নরসিংদীর আমির হোসেন ও হৃদয় এবং কিশোরগঞ্জের জসিম। এদিকে সৌদি আরবের আলহাসা কাতার রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদল (৩৬) নামে আরেক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় বলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা জানিয়েছেন। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আমির হোসেন (৫০) এর বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাউশিয়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। ওই গ্রামের মৃত আবুল কালাম মিয়ার পুত্র আমির হোসেন সাড়ে ৮ বছর পূর্বে সৌদি আরবে আল ফাহাদ কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ৬টায় সৌদি আরবে জিজান প্রদেশে নরসিংদীর আমির হোসেন ও মো. ইদন মিয়াসহ ১০ বাংলাদেশী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সৌদি সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে তীব্র গতিতে আল ফাহাদ কোম্পানির পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বহনকারী গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গাড়িটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আমির হোসেন ও মো. ইদনসহ ১০ বাংলাদেশী নিহত হন। আহত হয় আরও ১৫ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অপর আহত মো. ইদন মিয়ার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার সাপমারা গ্রামে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানায়, আমির হোসেন খুব ভাল মানুষ এবং সংসারের উপার্জনকারী ছিলেন। এখন এ সংসারটি কিভাবে চলবে এ নিয়ে চিন্তিত সকলে।