আল্লাহর প্রিয় হওয়ার মাধ্যম
- আপলোড টাইম : ০১:০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: আরবি ‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ রাত জাগরণ। শরিয়তের পরিভাষায় রাত দ্বিপ্রহরের পর ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে নামাজ আদায় করা হয় তাই ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া বাদ দেননি। তাহাজ্জুদ নামাজ রাত দ্বিপ্রহরের পরে পড়তে হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ কখনো ৪ রাকাত, কখনো ৮ রাকাত এবং কখনো ১২ রাকাত পড়েছিলেন। তাই তাহাজ্জুদ নামাজ কমপক্ষে ৪ রাকাত আদায় করা উচিত। কিন্তু যদি কেউ এ নামাজ ২ রাকাত আদায় করেন, তাহলেও তার তাহাজ্জুদ আদায় হবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইশার পর দুই বা ততোধিক রাকাত নামাজ পড়ে নেয়, সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী।’ তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সব নফল ইবাদত অপেক্ষা অধিক এবং এটি আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার প্রভু প্রত্যেক রাতের শেষাংশে নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, যে কেউ আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তা কবুল করব, যে কেউ কিছু প্রার্থনা করবে, আমি তা প্রদান করব, যে কেউ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি ও মুসলিম)। রাত জাগরণ করে যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং অপরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, তারা আল্লাহর অপার রহমতের মধ্যে বিচরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। এরপর তিনি (তার স্ত্রী) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেন’ (আবু দাউদ ও নাসাঈ)। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী অধিক সম্মানের অধিকারী হন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরানে অভিজ্ঞ ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়কারী সম্মানের অধিকারী হবেন।’ (বায়হাকি)। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এ জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো বিনা ওজরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ছাড়তেন না। সাহাবিগণও নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।