ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

নেকড়ে চাঁদের পর এবার নীল রক্তিম চাঁদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৮৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই পৃথিবীর আকাশে দেখা গিয়েছিল উলফ মুন বা নেকড়ে চাঁদ। উলফ মুন আসলে সুপার মুন। আমেরিকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা বছরের প্রথম সুপারমুনকে ‘উলফ মুন’ ডাকত। বছরের প্রথম নেকড়ে চাঁদ খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল? তাহলে আরো বড় চমক হচ্ছে, জানুয়ারির শেষ দিকে পৃথিবীর আকাশে আবারো দেখা যাবে বিরল চাঁদ। এ বছরের দ্বিতীয় পূর্ণ চাঁদটিকে দেখা যাবে জানুয়ারির ৩১ তারিখে, এটি এ বছরের দুইটি ‘নীল চাঁদ’ এর মধ্যে প্রথমটি। তাছাড়াও এদিন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে ফলে চাঁদ আকর্ষণীয় লাল রক্তের হবে যা ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাদঁ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ২ দিন আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল চাঁদ অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববাসী দেখতে যাচ্ছেন বছরের দ্বিতীয় সুপারমুন। স্পেস ডটকমের তথ্যানুসারে, আগামী ৩১ জানুয়ারি নীল চাঁদের সঙ্গে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের ঘটনাটি ১৫০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আপনি কোন দেশ থেকে দেখছেন তার ওপর ভিত্তি করে এটি ৩১ জানুয়ারি রাতে অথবা ১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘটবে। কেউ কেউ এটিকে ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’ বা ‘দারুন নীল রক্তিম চাঁদ’ খেতাব দিয়েছেন। নীল চাঁদের ব্যাখাটি হচ্ছে, চাঁদ আসলে নীল হয় না। নীল চাঁদ নামটি ইঙ্গিত করে যে, একটি নির্দিষ্ট মাসে এটি দ্বিতীয় পূর্ণ চাঁদ। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় চাঁদের রঙ সত্যিই পরিবর্তন হবে কিন্তু তা নীল হবে না। চন্দ্রগ্রহণের সময়, সূর্য এবং চাঁদের মধ্যবর্তী পৃথিবীর লাইনগুলো, চাঁদের পৃষ্ঠকে আঘাত করে আলোকে অবরোধ করে। এ কারণে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং ওই সময়টায় চাঁদকে রক্তিম লাল বা কমলা রঙের দেখা যায়। জানুয়ারির ৩১ তারিখে মধ্যরাতে এমনটা ঘটবে যখন প্রশান্ত মহাসাগর চাঁদের মুখোমুখি হবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা জানিয়েছে, মধ্য এবং পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলের মতো পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, হাওয়াই এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বাসিন্দারা চাঁদের বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ দেখতে সক্ষম হবেন। এ ঘটনাটি যেকোনো জায়গা থেকেই প্রত্যক্ষ করা যাবে। তবে স্পেস ডটকম জানিয়েছে, কিছু অঞ্চলে শুধু আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম ‘নেকড়ে চাঁদ’ খ্যাত সুপারমুন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকেই দেখা গিয়েছিল। পৃথিবীর আকাশে পরবর্তী নীল চাঁদের দেখা মিলবে আগামী ৩১ মার্চ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

নেকড়ে চাঁদের পর এবার নীল রক্তিম চাঁদ

আপলোড টাইম : ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই পৃথিবীর আকাশে দেখা গিয়েছিল উলফ মুন বা নেকড়ে চাঁদ। উলফ মুন আসলে সুপার মুন। আমেরিকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা বছরের প্রথম সুপারমুনকে ‘উলফ মুন’ ডাকত। বছরের প্রথম নেকড়ে চাঁদ খুব আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল? তাহলে আরো বড় চমক হচ্ছে, জানুয়ারির শেষ দিকে পৃথিবীর আকাশে আবারো দেখা যাবে বিরল চাঁদ। এ বছরের দ্বিতীয় পূর্ণ চাঁদটিকে দেখা যাবে জানুয়ারির ৩১ তারিখে, এটি এ বছরের দুইটি ‘নীল চাঁদ’ এর মধ্যে প্রথমটি। তাছাড়াও এদিন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে ফলে চাঁদ আকর্ষণীয় লাল রক্তের হবে যা ‘ব্লাড মুন’ বা রক্তিম চাদঁ হিসেবে পরিচিত। মাত্র ২ দিন আগেই পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল চাঁদ অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববাসী দেখতে যাচ্ছেন বছরের দ্বিতীয় সুপারমুন। স্পেস ডটকমের তথ্যানুসারে, আগামী ৩১ জানুয়ারি নীল চাঁদের সঙ্গে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের ঘটনাটি ১৫০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আপনি কোন দেশ থেকে দেখছেন তার ওপর ভিত্তি করে এটি ৩১ জানুয়ারি রাতে অথবা ১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘটবে। কেউ কেউ এটিকে ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’ বা ‘দারুন নীল রক্তিম চাঁদ’ খেতাব দিয়েছেন। নীল চাঁদের ব্যাখাটি হচ্ছে, চাঁদ আসলে নীল হয় না। নীল চাঁদ নামটি ইঙ্গিত করে যে, একটি নির্দিষ্ট মাসে এটি দ্বিতীয় পূর্ণ চাঁদ। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় চাঁদের রঙ সত্যিই পরিবর্তন হবে কিন্তু তা নীল হবে না। চন্দ্রগ্রহণের সময়, সূর্য এবং চাঁদের মধ্যবর্তী পৃথিবীর লাইনগুলো, চাঁদের পৃষ্ঠকে আঘাত করে আলোকে অবরোধ করে। এ কারণে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে এবং ওই সময়টায় চাঁদকে রক্তিম লাল বা কমলা রঙের দেখা যায়। জানুয়ারির ৩১ তারিখে মধ্যরাতে এমনটা ঘটবে যখন প্রশান্ত মহাসাগর চাঁদের মুখোমুখি হবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা জানিয়েছে, মধ্য এবং পূর্ব এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলের মতো পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র, আলাস্কা, হাওয়াই এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বাসিন্দারা চাঁদের বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবেন। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ দেখতে সক্ষম হবেন। এ ঘটনাটি যেকোনো জায়গা থেকেই প্রত্যক্ষ করা যাবে। তবে স্পেস ডটকম জানিয়েছে, কিছু অঞ্চলে শুধু আংশিক গ্রহণ দেখা যাবে। জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথম ‘নেকড়ে চাঁদ’ খ্যাত সুপারমুন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকেই দেখা গিয়েছিল। পৃথিবীর আকাশে পরবর্তী নীল চাঁদের দেখা মিলবে আগামী ৩১ মার্চ।