ত্যাগের মহিমায় কোরবানি
- আপলোড টাইম : ১১:০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের অন্যতম বিধান ঈদুল আজহায় পশু জবাইয়ের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করা। নিজেকে স্রষ্টার সামনে উৎসর্গ করার উপায় হলো কোরবানি। হজরত ইবরাহীম (আ.) নিজের প্রিয় পুত্রের গলায় ছুরি দিয়ে স্রষ্টার সামনে নিজের আনুগত্যের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে আখেরি নবীর উম্মতের ওপর এই বিধানটি জারি করা হয়েছে, যাতে তারা পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করতে পারে। অগণিত হাদিসে রাসুল (সা.) কোরবানির ফজিলত ও এর বিধিবিধান আলোচনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমাকে কোরবানির দিনে ঈদ (উদযাপনের) আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তা এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন।’ এক ব্যক্তি আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমার কাছে শুধু একটি ‘মানিহা’ থাকে (অর্থাৎ যা আমাকে শুধু দুধ পানের জন্য দেয়া হয়েছে) আমি কি তা কোরবানি করতে পারি? রাসুল (সা.) বললেন, ‘না। তবে তুমি চুল, নখ ও মোচ কাটবে এবং নাভীর নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটাই আল্লাহর দরবারে তোমার পূর্ণ কোরবানি বলে গণ্য হবে। জাবের (রা.) বলেন, আমরা হজের ইহরাম বেঁধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বের হলাম। তিনি আমাদেরকে আদেশ করলেন যেন আমরা প্রতিটি উট ও গরুতে সাতজন করে শরিক হয়ে কোরবানি করি। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুল (সা.) বলেন, একটি গরু সাতজনের পক্ষ হতে এবং একটি উট সাতজনের পক্ষ হতে কোরবানি করা যায়। আলি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের আদেশ করেছেন, আমরা যেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান ভালোভাবে লক্ষ্য করি এবং ওই পশু দ্বারা কোরবানি না করি, যার কানের অগ্রভাগ বা পশ্চাদভাগ কর্তিত। তদ্রƒপ যে পশুর কান ফাড়া বা কানে গোলাকার ছিদ্রযুুক্ত। আলি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে তার কোরবানির উটের আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেছেন, আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব। কোরবানি হলো ত্যাগ ও বিসর্জনের উজ্জ্বল উদাহরণ। এই ইবাদতের মাধ্যমে প্রকৃত মুমিন পরিচয়ে উত্তীর্ণ হওয়া যায়।