ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আলডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের রুমা হত্যার ১৫ দিন অতিবাহিত খুনিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে : জনমনে ক্ষোভ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

Screenshot (100)আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের রুমা খাতুন খুনের ১৫ দিন পার হলেও এখনও খুনিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ ব্যাপারে রুমার পরিবারসহ এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে বলেন, যৌতুকের বলি রুমা খাতুন হত্যার পরও পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আস্থা থাকছে না থানা পুলিশের উপর। ঘটনাটি ঘটে গত ২১জুলাই। জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের মোড়ভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন প্রায় ২ বছর পূর্বে একই গ্রামের সেলিম রেজার মেয়ে রুমা খাতুনকে (২০) বিয়ে করে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জামাইকে একটি মোটরসাইকেল প্রদান করা হয়। এরপরেও নতুন করে যৌতুকের দাবি তোলে লোভি প্রকৃতির সাদ্দাম হোসেন। বিভিন্ন সময়ে শ্বশুরের নিকট থেকে সে ২ লাখ টাকা যৌতুক আদায় করে ছাড়ে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বাপ-মা কষ্টে ২ লাখ টাকা দিলেও সাদ্দামের মনে জ্বলতে থাকা লোভের আগুন। এরইমধ্যে তাদের সংসারে এক সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির বয়স যখন প্রায় ৮/৯ মাস, তখন নতুন করে আবার যৌতুকের জন্য সাদ্দাম রুমাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, ৩ দিন পাষন্ড সাদ্দাম তার বউকে খেতে দেয়নি, ঘটনার আগের রাতে ঘরে ঢুকতে দেয়নি, শিশু সন্তানের কাছেও যেতে দেয়নি, সারা রাত ঘরের বাইরে দাঁড় করে রেখেছিল। গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন, সাদ্দামের শ্যামলী নামের এক বিধবা বোন রয়েছে। গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে স্বামী তাকে তালাক দেয়। শ্যামলী খাতুনই সব সময় নানা কথা লাগিয়ে বউ’র প্রতি সাদ্দামের মন বিষিয়ে তুলতো। তাদের দাম্পত্য কলহের মূলে তাদের বিধবা বোন শ্যামলী বলেও অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। রুমার হতভাগ্য পিতা জানায়, ঘটনার দিন সকাল ৮ টার দিকে তার নিকট সংবাদ পাঠানো হয় রুমা ঘরের আড়াই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে কুলাঙ্গার সাদ্দাম নতুন করে যৌতুকের দাবিতে রুমাকে খুব মারধর করে । কিন্তু তিনি নতুন করে আর টাকার জোগান দিতে পারেননি। সে জন্যই সাদ্দাম তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়াই ঝুঁলিয়ে রেখেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রুমার দু’গালে চড় মারার স্পষ্ট দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রুমার বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। সাদ্দামসহ সকলেই এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের রুমা হত্যার ১৫ দিন অতিবাহিত খুনিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে : জনমনে ক্ষোভ!

আপলোড টাইম : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

Screenshot (100)আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের রুমা খাতুন খুনের ১৫ দিন পার হলেও এখনও খুনিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ ব্যাপারে রুমার পরিবারসহ এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে বলেন, যৌতুকের বলি রুমা খাতুন হত্যার পরও পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আস্থা থাকছে না থানা পুলিশের উপর। ঘটনাটি ঘটে গত ২১জুলাই। জানাযায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের মোড়ভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন প্রায় ২ বছর পূর্বে একই গ্রামের সেলিম রেজার মেয়ে রুমা খাতুনকে (২০) বিয়ে করে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জামাইকে একটি মোটরসাইকেল প্রদান করা হয়। এরপরেও নতুন করে যৌতুকের দাবি তোলে লোভি প্রকৃতির সাদ্দাম হোসেন। বিভিন্ন সময়ে শ্বশুরের নিকট থেকে সে ২ লাখ টাকা যৌতুক আদায় করে ছাড়ে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বাপ-মা কষ্টে ২ লাখ টাকা দিলেও সাদ্দামের মনে জ্বলতে থাকা লোভের আগুন। এরইমধ্যে তাদের সংসারে এক সন্তানের জন্ম হয়। শিশুটির বয়স যখন প্রায় ৮/৯ মাস, তখন নতুন করে আবার যৌতুকের জন্য সাদ্দাম রুমাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, ৩ দিন পাষন্ড সাদ্দাম তার বউকে খেতে দেয়নি, ঘটনার আগের রাতে ঘরে ঢুকতে দেয়নি, শিশু সন্তানের কাছেও যেতে দেয়নি, সারা রাত ঘরের বাইরে দাঁড় করে রেখেছিল। গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন, সাদ্দামের শ্যামলী নামের এক বিধবা বোন রয়েছে। গত প্রায় দেড় বছর পূর্বে স্বামী তাকে তালাক দেয়। শ্যামলী খাতুনই সব সময় নানা কথা লাগিয়ে বউ’র প্রতি সাদ্দামের মন বিষিয়ে তুলতো। তাদের দাম্পত্য কলহের মূলে তাদের বিধবা বোন শ্যামলী বলেও অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। রুমার হতভাগ্য পিতা জানায়, ঘটনার দিন সকাল ৮ টার দিকে তার নিকট সংবাদ পাঠানো হয় রুমা ঘরের আড়াই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে কুলাঙ্গার সাদ্দাম নতুন করে যৌতুকের দাবিতে রুমাকে খুব মারধর করে । কিন্তু তিনি নতুন করে আর টাকার জোগান দিতে পারেননি। সে জন্যই সাদ্দাম তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়াই ঝুঁলিয়ে রেখেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রুমার দু’গালে চড় মারার স্পষ্ট দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে রুমার বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। সাদ্দামসহ সকলেই এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।