ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিতে এখনো চলছে দৌড়ঝাঁপের রাজনীতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে

cfgfg

সমীকরণ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হয়ে গেছে কিন্তু পদ পাওয়ার আশায় বিএনপিতে দৌড়ঝাঁপ থেমে নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যস্থানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি উপকমিটি, ঢাকা মহানগর এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পদ পেতে পদপ্রত্যাশীরা ছুটছেন প্রভাবশালী নেতাদের কাছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যে দল পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এক নেতার এক পদ পদ্ধতি চালু করে সেসব স্থানে নতুন নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেখানে প্রায় ৬০ নেতার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর বাইরে এই সময়ের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ২৫টি উপকমিটির প্রতি কমিটিতে ১২ নেতাকে পদ দেয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করে সুপার ফাইভ কমিটি করা হবে। পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলেও সুপার ফাইভ কমিটি দেয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। সব মিলে বিএনপিতে আরো চারশ পদে নতুন নেতৃত্ব আসছে। সূত্রমতে, কমিটিতে স্থান নিয়ে রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দৌড়াচ্ছেন প্রভাবশালী নেতাদের কাছে। বিশেষ করে প্রভাবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের বাসবভন ও কার্যালয়ে পদপ্রত্যাশীদের ভিড় বেড়েই চলছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের পাশাপাশি পরিবার-পরিজন এবং অনুসারীদের যেসব নেতা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন তাদের কদর বেশি। রাজনীতিতে তেমন কোনো অবদান না রাখার পরও যেসব নেতা তাদের পরিজনকে কমিটিতে স্থান করে দিতে পেরেছেন তার পক্ষে যে কাউকেই পরবর্তী ধাপের কমিটিতেও স্থান করে দিতে পারবেন এমন বিশ্বাস এখন পদপ্রত্যাশীদের। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, যে চারশ নেতা নতুন করে পদ পেতে যাচ্ছেন তার কোনোটাই এখনো চূড়ান্ত নয়। শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। তাই আলোচনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কিছু নেতা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর যারা এখনো আলোচনায় আসেনি তারাও চেষ্টা করছেন প্রথমে আলোচনায় আসতে এবং পরে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক নেতার এক পদ পদ্ধতির কারণে যে স্থানটি তৈরি হচ্ছে সেই স্থানে থাকা নেতার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছেন। আবার অনেকে শূন্য পদের জন্য নিজের যোগ্যতা প্রমাণে পত্রিকার কাটিংসহ নিজের বিভিন্ন কর্মকা-ের দলিল নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রভাবশালী নেতার কাছে। আর অনেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিগত সময়ে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেছনের পথ দিয়ে পদ পেতে চাচ্ছেন। বিএনপি সূত্রমতে, দলের গুলশান এবং পল্টনের কার্যালয় ছাড়াও উত্তরা, শাহজাহানপুর, গুলশানসহ কয়েকটি স্থানের প্রভাবশালী নেতাদের বাসায় এবং পল্টন, মতিঝিল, কাওরানবাজারের কয়েক নেতার কার্যালয়ে পদপ্রতাশীদের ভিড় বেশি। সম্প্রতি যুবদলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা পল্টনে দলের প্রভাবশালী এক নেতার কার্যালয় থেকে বের হয়ে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতাই তার ছিল। কিন্তু তা হয়নি। যাদের রাজনীতির মাঠের চেয়ে নেতাদের ড্রয়িং রুমে বেশি দেখা গেছে তারা পদ পেয়েছেন। এজন্য এবার সেই পদ্ধতির অংশ হিসেবে নেতার কাছে এসেছেন। আর নেতাকে বলে এসেছেন যেভাবে হোক পদ দেন। পদ পেলে ভবিষ্যতে রাজপথে নয় তার অফিসে এবং ড্রয়িং রুমে থাকবেন। এই বক্তব্যের পরে নেতার কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান যুবদলের সুপার ফাইভ প্রত্যাশী এই নেতা। এমন মান অভিমান নিয়ে কথা বললেন ঢাকা মহানগর বিএনপির পদপ্রত্যাশী আরেক নেতা। বললেন, ৩০টির বেশি মামলায় জড়িয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার মতো বেশ সম্ভাবনাও ছিল। এত বড় কমিটিতে স্থান না পেয়ে এবার বেশিরভাগ নেতা যেভাবে পদ পেয়েছে সেই রাস্তায়ই হাঁটছেন। আশা করছেন এবার কাজ হবে। বিএনপি সূত্রমতে, স্থায়ী কমিটির দুটি এবং ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদকের পদগুলো বিএনপি চেয়ারপারসন বিশেষ বিবেচনায় শূন্য রেখেছেন। সঙ্গত কারণে এই পদগুলো নিয়ে দৌড়ঝাঁপ নেই বললেই চলে। তবে বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি, ঢাকা মহানগর এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পদ নিয়ে চলছে লবিং। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিগগিরই উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে। প্রথমে দুটি কমিটির শীর্ষ ৫ নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। উত্তরের জন্য আলোচনায় আছেন নগর নেতা এমএ কাইয়ুম, আহসান উল্লাহ হাসান, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু, সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, আবদুল মতিন, আব্দুল আলীম নকী, এজিএম সামছুল হক এবং দক্ষিণে কাজী আবুল বাশার, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, তানভীর আহমেদ রবীন, আরিফুর রহমান, আবদুল লতিফ ও হারুন-অর-রশীদ হারুন। এ ছাড়া আলোচনার বাইরে থাকা কমপক্ষে দেড় ডজন নেতা কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। এদিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নতুন কমিটি ঘোষণার করা হবে আগামী মাসে। প্রথমে প্রতিটি কমিটিই ঘোষণা করা হবে শীর্ষ ৫ নেতার নাম। যুবদলের সুপার ফাইভে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবনেতা মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, মাহবুবুল হাসান পিংকু, আবদুল মোনায়েম মুন্না, মোরতাজুল করিম বাদরুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এর বাইরেও অন্তত অর্ধ ডজন নেতা সুপার ফাইভে নিজের নাম লেখাতে বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। দৌড়ঝাঁপের বিষয়ে মাহবুবুল হাসান পিংকু বলেন, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতেই গত তিন দশক দৌড়ঝাঁপ করেছেন। পদের জন্য বিগত সময়ে দৌড়ঝাঁপ করেননি, ভবিষ্যতেও করবেন না। পেছনের রাস্তায় কেউ যদি পদে আসতে চান তিনি হয়তো লাভবান হবেন কিন্তু দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি বিবেচনা করে নিশ্চয়ই যোগ্যদের ্পদ দেবেন বিএনপিপ্রধান।স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপার ফাইভের আলোচনায় আছেন বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক রিপন। এর বাইরেও প্রায় ১ ডজন নেতা পদের জন্য তদবির অব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে মহিলা দলও পুনর্গঠনে বিএনপির হাইকমান্ড কাজ করছেন। পদপ্রত্যাশী এক নেত্রী জানান, পল্টনে দলের প্রভাবশালী এক নেতার কার্যালয়ে মহিলা দলের কমিটি হচ্ছে। এই খবর এখন দলের সবারই জানা। সঙ্গত কারণেই কার্যালয়ে নারীনেত্রীদের ভিড় কমছে না।এ বিষয়ে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা বলেন, তিনি কাজের মাধ্যমে সবসময় পদ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। কেউ যদি ভিন্ন উপায়ে পদের চেষ্টা করেন এবং পান তাহলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশনেত্রী অবশ্যই দল ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা চাইবেন না। সেজন্য ভালো পদ পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিরিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

বিএনপিতে এখনো চলছে দৌড়ঝাঁপের রাজনীতি

আপলোড টাইম : ১১:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

cfgfg

সমীকরণ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হয়ে গেছে কিন্তু পদ পাওয়ার আশায় বিএনপিতে দৌড়ঝাঁপ থেমে নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যস্থানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি উপকমিটি, ঢাকা মহানগর এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পদ পেতে পদপ্রত্যাশীরা ছুটছেন প্রভাবশালী নেতাদের কাছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যে দল পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এক নেতার এক পদ পদ্ধতি চালু করে সেসব স্থানে নতুন নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেখানে প্রায় ৬০ নেতার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এর বাইরে এই সময়ের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক ২৫টি উপকমিটির প্রতি কমিটিতে ১২ নেতাকে পদ দেয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপিকে উত্তর ও দক্ষিণ ভাগে ভাগ করে সুপার ফাইভ কমিটি করা হবে। পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলেও সুপার ফাইভ কমিটি দেয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। সব মিলে বিএনপিতে আরো চারশ পদে নতুন নেতৃত্ব আসছে। সূত্রমতে, কমিটিতে স্থান নিয়ে রাজনীতিতে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দৌড়াচ্ছেন প্রভাবশালী নেতাদের কাছে। বিশেষ করে প্রভাবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের বাসবভন ও কার্যালয়ে পদপ্রত্যাশীদের ভিড় বেড়েই চলছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের পাশাপাশি পরিবার-পরিজন এবং অনুসারীদের যেসব নেতা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন তাদের কদর বেশি। রাজনীতিতে তেমন কোনো অবদান না রাখার পরও যেসব নেতা তাদের পরিজনকে কমিটিতে স্থান করে দিতে পেরেছেন তার পক্ষে যে কাউকেই পরবর্তী ধাপের কমিটিতেও স্থান করে দিতে পারবেন এমন বিশ্বাস এখন পদপ্রত্যাশীদের। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, যে চারশ নেতা নতুন করে পদ পেতে যাচ্ছেন তার কোনোটাই এখনো চূড়ান্ত নয়। শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। তাই আলোচনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কিছু নেতা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর যারা এখনো আলোচনায় আসেনি তারাও চেষ্টা করছেন প্রথমে আলোচনায় আসতে এবং পরে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক নেতার এক পদ পদ্ধতির কারণে যে স্থানটি তৈরি হচ্ছে সেই স্থানে থাকা নেতার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছেন। আবার অনেকে শূন্য পদের জন্য নিজের যোগ্যতা প্রমাণে পত্রিকার কাটিংসহ নিজের বিভিন্ন কর্মকা-ের দলিল নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রভাবশালী নেতার কাছে। আর অনেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিগত সময়ে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেছনের পথ দিয়ে পদ পেতে চাচ্ছেন। বিএনপি সূত্রমতে, দলের গুলশান এবং পল্টনের কার্যালয় ছাড়াও উত্তরা, শাহজাহানপুর, গুলশানসহ কয়েকটি স্থানের প্রভাবশালী নেতাদের বাসায় এবং পল্টন, মতিঝিল, কাওরানবাজারের কয়েক নেতার কার্যালয়ে পদপ্রতাশীদের ভিড় বেশি। সম্প্রতি যুবদলের পদপ্রত্যাশী এক নেতা পল্টনে দলের প্রভাবশালী এক নেতার কার্যালয় থেকে বের হয়ে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার মতো সব ধরনের যোগ্যতাই তার ছিল। কিন্তু তা হয়নি। যাদের রাজনীতির মাঠের চেয়ে নেতাদের ড্রয়িং রুমে বেশি দেখা গেছে তারা পদ পেয়েছেন। এজন্য এবার সেই পদ্ধতির অংশ হিসেবে নেতার কাছে এসেছেন। আর নেতাকে বলে এসেছেন যেভাবে হোক পদ দেন। পদ পেলে ভবিষ্যতে রাজপথে নয় তার অফিসে এবং ড্রয়িং রুমে থাকবেন। এই বক্তব্যের পরে নেতার কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান যুবদলের সুপার ফাইভ প্রত্যাশী এই নেতা। এমন মান অভিমান নিয়ে কথা বললেন ঢাকা মহানগর বিএনপির পদপ্রত্যাশী আরেক নেতা। বললেন, ৩০টির বেশি মামলায় জড়িয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার মতো বেশ সম্ভাবনাও ছিল। এত বড় কমিটিতে স্থান না পেয়ে এবার বেশিরভাগ নেতা যেভাবে পদ পেয়েছে সেই রাস্তায়ই হাঁটছেন। আশা করছেন এবার কাজ হবে। বিএনপি সূত্রমতে, স্থায়ী কমিটির দুটি এবং ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদকের পদগুলো বিএনপি চেয়ারপারসন বিশেষ বিবেচনায় শূন্য রেখেছেন। সঙ্গত কারণে এই পদগুলো নিয়ে দৌড়ঝাঁপ নেই বললেই চলে। তবে বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি, ঢাকা মহানগর এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের পদ নিয়ে চলছে লবিং। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিগগিরই উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হবে। প্রথমে দুটি কমিটির শীর্ষ ৫ নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। উত্তরের জন্য আলোচনায় আছেন নগর নেতা এমএ কাইয়ুম, আহসান উল্লাহ হাসান, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু, সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, আবদুল মতিন, আব্দুল আলীম নকী, এজিএম সামছুল হক এবং দক্ষিণে কাজী আবুল বাশার, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, তানভীর আহমেদ রবীন, আরিফুর রহমান, আবদুল লতিফ ও হারুন-অর-রশীদ হারুন। এ ছাড়া আলোচনার বাইরে থাকা কমপক্ষে দেড় ডজন নেতা কমিটিতে স্থান পেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। এদিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নতুন কমিটি ঘোষণার করা হবে আগামী মাসে। প্রথমে প্রতিটি কমিটিই ঘোষণা করা হবে শীর্ষ ৫ নেতার নাম। যুবদলের সুপার ফাইভে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবনেতা মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, মাহবুবুল হাসান পিংকু, আবদুল মোনায়েম মুন্না, মোরতাজুল করিম বাদরুর নাম আলোচনায় রয়েছে। এর বাইরেও অন্তত অর্ধ ডজন নেতা সুপার ফাইভে নিজের নাম লেখাতে বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। দৌড়ঝাঁপের বিষয়ে মাহবুবুল হাসান পিংকু বলেন, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতেই গত তিন দশক দৌড়ঝাঁপ করেছেন। পদের জন্য বিগত সময়ে দৌড়ঝাঁপ করেননি, ভবিষ্যতেও করবেন না। পেছনের রাস্তায় কেউ যদি পদে আসতে চান তিনি হয়তো লাভবান হবেন কিন্তু দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি বিবেচনা করে নিশ্চয়ই যোগ্যদের ্পদ দেবেন বিএনপিপ্রধান।স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপার ফাইভের আলোচনায় আছেন বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ইয়াছিন আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক রিপন। এর বাইরেও প্রায় ১ ডজন নেতা পদের জন্য তদবির অব্যাহত রেখেছেন।
অন্যদিকে মহিলা দলও পুনর্গঠনে বিএনপির হাইকমান্ড কাজ করছেন। পদপ্রত্যাশী এক নেত্রী জানান, পল্টনে দলের প্রভাবশালী এক নেতার কার্যালয়ে মহিলা দলের কমিটি হচ্ছে। এই খবর এখন দলের সবারই জানা। সঙ্গত কারণেই কার্যালয়ে নারীনেত্রীদের ভিড় কমছে না।এ বিষয়ে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা বলেন, তিনি কাজের মাধ্যমে সবসময় পদ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। কেউ যদি ভিন্ন উপায়ে পদের চেষ্টা করেন এবং পান তাহলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশনেত্রী অবশ্যই দল ক্ষতিগ্রস্ত হোক, তা চাইবেন না। সেজন্য ভালো পদ পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিরিন।