ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণভিক্ষা চাইবেন না মীর কাসেম : প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

4913_f3সমীকরণ ডেস্ক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। শুক্রবার বিকালে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। কাশিমপুর কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক শুক্রবার বলেন, তারা দুপুরের পর আবারো তার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিলেন। উনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো তার কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি সময় নিয়ে শুক্রবার তার সিদ্ধান্ত জানান। সূত্র বলছে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফাঁসির দুটি মঞ্চ প্রস্তুত করে প্রাথমিক মহড়া দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে জল্লাদ দলকেও। সূত্র আরো জানায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আলাদা চারটি কারাগার রয়েছে। তার মধ্যে কাশিমপুর কারাগার-১, কাশিমপুর কারাগার-২, হাইসিকিউরিটি ও নারী কারাগার। এর মধ্যে কাশিমপুর কারাগার-২ ও হাইসিকিউরিটি কারাগার দুটিতে একটি করে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, সরকারের আদেশ পেলে তারা যে কোনো একটি মঞ্চে মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করবেন। এ জন্য তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি আছে। কারা সূত্র জানায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ দুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। মোম মাখানো দড়িতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জল্লাদ শাহজাহান, রাজু, পল্টুসহ কয়েকজনকে। জেলার নাসির আহমদ জানান, মীর কাসেম আলীকে ৪০নং কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। কারাগারের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়েছে। এই জল্লাদ দল এর আগে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করেছে। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত পেলেই মীর কাসেম আলীর দ- বাস্তবায়ন করা হবে।  সূত্র আরো জানায়, দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ একটি ব্যতিক্রমী ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কারাগার। সেখানে বন্দিদের থাকার জন্য রয়েছে ৬ তলাবিশিষ্ট ৬টি ভবন। প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে ২১টি করে ওয়ার্ড। এই কারাগারে ফাঁসির আসামিদের জন্য আছে ৪০টি কনডেম সেল, যার একটিতে রয়েছেন মীর কাসেম আলী। এমনিতেই কারাগারটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টিত। এরপরও যেহেতু এখানে কোনো যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড প্রথমবারের মতো কার্যকর হতে যাচ্ছে তাই কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকালে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাগারে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করার পর কারা ফটকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন- তার স্বামী মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম (আরমান)-এর জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ছেলে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ পৌঁছে। রাত অনেক বেশি হওয়ায় তখন মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়। ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী ২০১২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দ-প্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আটটি অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। আপিলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৮ মার্চ আপিল বিভাগ শুধু কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে (১১ নাম্বার অভিযোগ) ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। এছাড়া আরো ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাভোগের সাজা বহাল রাখে আদালত। গত ৬ জুন আপিল বিভাগ মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। মীর কাসেম ১৯ জুন ফাঁসির দ- থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন। মোট ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি উত্থাপন করে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চান তিনি। এই রিভিউ আবেদনের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়। পরে ২৮ আগস্ট শুনানি গ্রহণ শেষ করে ৩০ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করা হয়। গত ৩০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

প্রাণভিক্ষা চাইবেন না মীর কাসেম : প্রস্তুত ফাঁসির মঞ্চ

আপলোড টাইম : ১১:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

4913_f3সমীকরণ ডেস্ক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। শুক্রবার বিকালে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। কাশিমপুর কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক শুক্রবার বলেন, তারা দুপুরের পর আবারো তার সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছিলেন। উনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো তার কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি সময় নিয়ে শুক্রবার তার সিদ্ধান্ত জানান। সূত্র বলছে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফাঁসির দুটি মঞ্চ প্রস্তুত করে প্রাথমিক মহড়া দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে জল্লাদ দলকেও। সূত্র আরো জানায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আলাদা চারটি কারাগার রয়েছে। তার মধ্যে কাশিমপুর কারাগার-১, কাশিমপুর কারাগার-২, হাইসিকিউরিটি ও নারী কারাগার। এর মধ্যে কাশিমপুর কারাগার-২ ও হাইসিকিউরিটি কারাগার দুটিতে একটি করে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, সরকারের আদেশ পেলে তারা যে কোনো একটি মঞ্চে মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করবেন। এ জন্য তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি আছে। কারা সূত্র জানায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ দুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। মোম মাখানো দড়িতে বালুর বস্তা দিয়ে প্রাথমিক মহড়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে জল্লাদ শাহজাহান, রাজু, পল্টুসহ কয়েকজনকে। জেলার নাসির আহমদ জানান, মীর কাসেম আলীকে ৪০নং কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। কারাগারের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়েছে। এই জল্লাদ দল এর আগে যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি আবদুল কাদের মোল্লা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করেছে। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত পেলেই মীর কাসেম আলীর দ- বাস্তবায়ন করা হবে।  সূত্র আরো জানায়, দেশের ৬৮টি কারাগারের মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ একটি ব্যতিক্রমী ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কারাগার। সেখানে বন্দিদের থাকার জন্য রয়েছে ৬ তলাবিশিষ্ট ৬টি ভবন। প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে ২১টি করে ওয়ার্ড। এই কারাগারে ফাঁসির আসামিদের জন্য আছে ৪০টি কনডেম সেল, যার একটিতে রয়েছেন মীর কাসেম আলী। এমনিতেই কারাগারটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টিত। এরপরও যেহেতু এখানে কোনো যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড প্রথমবারের মতো কার্যকর হতে যাচ্ছে তাই কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকালে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাগারে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করার পর কারা ফটকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন- তার স্বামী মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম (আরমান)-এর জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ছেলে ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ পৌঁছে। রাত অনেক বেশি হওয়ায় তখন মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রায় পড়ে শোনানো হয়। ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী ২০১২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দ-প্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আটটি অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। আপিলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৮ মার্চ আপিল বিভাগ শুধু কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে (১১ নাম্বার অভিযোগ) ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। এছাড়া আরো ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাভোগের সাজা বহাল রাখে আদালত। গত ৬ জুন আপিল বিভাগ মীর কাসেমের ফাঁসি বহাল রেখে ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। মীর কাসেম ১৯ জুন ফাঁসির দ- থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন। মোট ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি উত্থাপন করে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চান তিনি। এই রিভিউ আবেদনের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়। পরে ২৮ আগস্ট শুনানি গ্রহণ শেষ করে ৩০ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য করা হয়। গত ৩০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।