ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আন্দুলবাড়ীয়ায় স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করলেন স্বামী

প্রতিবেদক, আন্দুলবাড়ীয়া:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের হারদাপাড়ায় স্ত্রী মমতাজ বেগমমে (৫০) কুপিয়ে জখম করেছেন স্বামী আসাদুল হক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এশার নামাজের পূর্বে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত গুড়েল নবীর ছেলে আসাদুল হক একই ইউনিয়নের আন্দুলবাড়ীয়া হারদা পাড়ার মৃত বদর উদ্দীন বুদোর কণ্যা মমতাজ বেগমকে বিবাহ করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শ্বশুর বাড়ির পাশে জমি কিনে সেখানে বসবাস করতেন। সম্প্রতি আসাদুল হক মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এ কারণেই হয়ত নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছেন। এছাড়া তিন নিজ ঘরে সংরক্ষিত ৫০০-১০০০ টাকার অসংখ্য নোট হাসুয়া দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেছেন। এসময় তিনি স্ত্রীকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব জানান, রাতে রক্তাক্তক আহত অবস্থায় ওই নারীকে তার স্বজনরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জীবননগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস, শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি মামুন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন। উল্লেখ্য, ১৫-২০ বছর পূর্বে আসাদুল হক তার পিতা গুড়ের নবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিল উদ্দীন পিতা হত্যার ঘটনার পূর্বের রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আন্দুলবাড়ীয়ায় স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করলেন স্বামী

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের হারদাপাড়ায় স্ত্রী মমতাজ বেগমমে (৫০) কুপিয়ে জখম করেছেন স্বামী আসাদুল হক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এশার নামাজের পূর্বে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চাডাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত গুড়েল নবীর ছেলে আসাদুল হক একই ইউনিয়নের আন্দুলবাড়ীয়া হারদা পাড়ার মৃত বদর উদ্দীন বুদোর কণ্যা মমতাজ বেগমকে বিবাহ করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শ্বশুর বাড়ির পাশে জমি কিনে সেখানে বসবাস করতেন। সম্প্রতি আসাদুল হক মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এ কারণেই হয়ত নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছেন। এছাড়া তিন নিজ ঘরে সংরক্ষিত ৫০০-১০০০ টাকার অসংখ্য নোট হাসুয়া দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেছেন। এসময় তিনি স্ত্রীকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুস সাকিব জানান, রাতে রক্তাক্তক আহত অবস্থায় ওই নারীকে তার স্বজনরা জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জীবননগর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস, শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি মামুন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন। উল্লেখ্য, ১৫-২০ বছর পূর্বে আসাদুল হক তার পিতা গুড়ের নবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিল উদ্দীন পিতা হত্যার ঘটনার পূর্বের রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।