চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় দফা হামলা
এলোপাতাড়ি কোপে জখম নিপুন সাহার মৃত্যু- আপলোড টাইম : ১২:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে দ্বিতীয় দফা হামলায় গুরুতর আহত নিপুন সাহা (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিপুন সাহার মা কাজল সাহা।
গত শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের টাউন ফুটবল মাঠের সামনে এলোপাতাড়ি কোপে জখম করা হয় নিপুন সাহাকে। স্থানীয়রা জানান, ওই রাতে বড় বাজারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা কৃষ্ণ সাহার ছেলে নিপুনকে দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল নির্মমভাবে কুপিয়ে ফেলে যায়।
নিপুনের মা জানান, রাতে বাইরে বের হলে তিনি রাস্তার পাশে বহু লোককে বড় দা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। চিৎকার করলে নিপুন বাড়ি থেকে বের হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই হামলার শিকার হয়। হামলাকারীরা তাকে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে ফেলে এলোপাতাড়ি কোপায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আইসিইউ’তে চিকিৎসকরা। আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় তার মৃতদেহ আইসিইউ থেকে বের করা হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম ঘটনার দিন জানিয়েছিলেন, রাত ১০টার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নিপুন সাহাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার মাথা, হাত ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিলো। মাথার জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
হামলার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিপুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ছাগল ফার্মপাড়ার আবু হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), জেবু, রানা ও আরও ২০-২৫ জন তার ওপর হামলা চালায়। নিপুন আগে সিলেটে ছিলেন এবং পেশায় একজন ট্রাকচালক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান জানান, শুক্রবারের তরমুজ বিক্রি সংক্রান্ত ঘটনায় আগের বিরোধ থেকেই এই হামলা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখনো হয়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বড় বাজারে একটি তরমুজ সাদা হওয়ায় ফেরত দিতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তখন বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলাম কুপিয়ে আহত হন। নিপুন ওই ঘটনার সময় রুবেল ও আমিরুলের পক্ষে থাকায় তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।