ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বৈশাখের আগের দিনেও চুয়াডাঙ্গায় মাছ বাজারে ভিন্ন রূপ

বাঙালির ইলিশ আবেগে ভাটা, বিক্রিতে মন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা নববর্ষ শুধু একটি তারিখ নয়, এটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। দিনটি উদ্যাপনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুভূতি ভিন্ন হলেও একটি জায়গায় সবার ভাবনা মিলে যায়, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ। প্রতি বছর এই দিন ঘিরে ইলিশের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়। তবে এবার ভিন্ন চিত্র চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারে। বৈশাখের আগের দিনেও ক্রেতাদের মধ্যে ইলিশের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়নি। বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ইলিশ সাজিয়ে রাখলেও তা দেখে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা, কিনছেন না কেউই।
গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র চারজন ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করছেন। তারা জানান, অন্যান্য বছরে পহেলা বৈশাখের দু-তিন দিন আগে থেকেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকত। কিন্তু এবার চাহিদা নেই বললেই চলে। দাম তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও বিক্রি একেবারেই মন্দা।

ইলশ মাছ ক্রেতা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর বৈশাখে ইলিশ কিনে বাসায় পান্তা-ইলিশ খাই। এটা যেন একটা রীতি হয়ে গেছে। কিন্তু এবার বাজারে এসে দেখি মাছ নেই, যে দু’এক ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করছেন, দাম বেশি বলছেন। মাঝারি সাইজের একটা ইলিশ ১২০০ টাকা কেজি চাচ্ছে। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কষ্টকর। তাছাড়া ইলিশের স্বাদ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন, আগের মতো তাজা বা সুস্বাদু নয়। একটি মাত্র মাছ কিনেছি ৬০০ টাকা পড়েছে। বাচ্চারা পান্তা ইলিশ খেতে চেয়েছে, বৈশাখ না হলে কিনতাম না।’
ব্যবসায়ী মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশ বিক্রি করি। অন্যান্য বছর এই সময়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ত। একদিনেই ২০-৩০ কেজি ইলিশ বিক্রি হতো। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়ে দিয়েছি, তবু ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বাজারে অনেকেই এসে দেখে যাচ্ছেন, কিনছেন না। অনেকে বলছেন, ইলিশের স্বাদ আগের মতো নেই, আবার কেউ কেউ দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট। বৈশাখে ইলিশ বিক্রি না হওয়া আমাদের জন্যও এটা হতাশার।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বৈশাখের আগের দিনেও চুয়াডাঙ্গায় মাছ বাজারে ভিন্ন রূপ

বাঙালির ইলিশ আবেগে ভাটা, বিক্রিতে মন্দা

আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা নববর্ষ শুধু একটি তারিখ নয়, এটি বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। দিনটি উদ্যাপনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুভূতি ভিন্ন হলেও একটি জায়গায় সবার ভাবনা মিলে যায়, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ। প্রতি বছর এই দিন ঘিরে ইলিশের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়। তবে এবার ভিন্ন চিত্র চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারে। বৈশাখের আগের দিনেও ক্রেতাদের মধ্যে ইলিশের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়নি। বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী ইলিশ সাজিয়ে রাখলেও তা দেখে চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা, কিনছেন না কেউই।
গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র চারজন ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করছেন। তারা জানান, অন্যান্য বছরে পহেলা বৈশাখের দু-তিন দিন আগে থেকেই ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকত। কিন্তু এবার চাহিদা নেই বললেই চলে। দাম তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও বিক্রি একেবারেই মন্দা।

ইলশ মাছ ক্রেতা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর বৈশাখে ইলিশ কিনে বাসায় পান্তা-ইলিশ খাই। এটা যেন একটা রীতি হয়ে গেছে। কিন্তু এবার বাজারে এসে দেখি মাছ নেই, যে দু’এক ব্যবসায়ী ইলিশ বিক্রি করছেন, দাম বেশি বলছেন। মাঝারি সাইজের একটা ইলিশ ১২০০ টাকা কেজি চাচ্ছে। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কষ্টকর। তাছাড়া ইলিশের স্বাদ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছেন, আগের মতো তাজা বা সুস্বাদু নয়। একটি মাত্র মাছ কিনেছি ৬০০ টাকা পড়েছে। বাচ্চারা পান্তা ইলিশ খেতে চেয়েছে, বৈশাখ না হলে কিনতাম না।’
ব্যবসায়ী মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশ বিক্রি করি। অন্যান্য বছর এই সময়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ত। একদিনেই ২০-৩০ কেজি ইলিশ বিক্রি হতো। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়ে দিয়েছি, তবু ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বাজারে অনেকেই এসে দেখে যাচ্ছেন, কিনছেন না। অনেকে বলছেন, ইলিশের স্বাদ আগের মতো নেই, আবার কেউ কেউ দাম নিয়ে অসন্তুষ্ট। বৈশাখে ইলিশ বিক্রি না হওয়া আমাদের জন্যও এটা হতাশার।’