ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের

যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের টাউনফুটবল মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে শহরের বড় বাজারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ও কৃষ্ণ সাহার ছেলে নিপুন সাহাকে (২৪) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ নিপুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

নিপুন সাহার মা কাজল সাহা জানান, ‘রাত প্রায় পৌনে ১০টার দিকে তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে রাস্তার পাশে ২০ থেকে ২৫ জন লোককে বড় বড় দা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি চিৎকার করলে নিপুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। নিপুন বের হতেই তারা নিপুনের ওপর হামলা চালায়। নিপুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাকে তাড়িয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ স্থানীয়দের সাহায্যে নিপুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘রাত ১০টার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নিপুন সাহাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, হাত ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে তার মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিপুন অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাগল ফার্মপাড়ার আবু হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), জেবু ও রানাসহ ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’ নিপুন আগে সিলেটে থাকতেন এবং পেশায় একজন ট্রাকচালক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে ঘটনার জেরে ধরেই এই ঘটনাটিও ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ভাবে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় বাজার থেকে একটি তরমুজ বিক্রি ও তা সাদা হওয়ায় ফেরত দিতে আসা নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পুলিশের দাবি, এরই জেরে বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিপুন সাহা ওই ঘটনার সময় রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামের পক্ষে থাকায় গতকাল একা পেয়ে নিপুনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে নিপুন সাহা তার মা-বাবার সঙ্গে টাউন ফুটবল মাঠের সামনের একটি ভাড়া বসবাস থাকেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জের

যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের টাউনফুটবল মাঠের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে শহরের বড় বাজারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ও কৃষ্ণ সাহার ছেলে নিপুন সাহাকে (২৪) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ নিপুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়।

নিপুন সাহার মা কাজল সাহা জানান, ‘রাত প্রায় পৌনে ১০টার দিকে তিনি বাড়ির বাইরে বের হলে রাস্তার পাশে ২০ থেকে ২৫ জন লোককে বড় বড় দা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি চিৎকার করলে নিপুন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। নিপুন বের হতেই তারা নিপুনের ওপর হামলা চালায়। নিপুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাকে তাড়িয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ স্থানীয়দের সাহায্যে নিপুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘রাত ১০টার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নিপুন সাহাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা, হাত ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে তার মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিপুন অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাগল ফার্মপাড়ার আবু হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), জেবু ও রানাসহ ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’ নিপুন আগে সিলেটে থাকতেন এবং পেশায় একজন ট্রাকচালক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে তরমুজ বিক্রিকে কেন্দ্র করে ঘটনার জেরে ধরেই এই ঘটনাটিও ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ভাবে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় বাজার থেকে একটি তরমুজ বিক্রি ও তা সাদা হওয়ায় ফেরত দিতে আসা নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পুলিশের দাবি, এরই জেরে বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করা হয়। নিপুন সাহা ওই ঘটনার সময় রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামের পক্ষে থাকায় গতকাল একা পেয়ে নিপুনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে নিপুন সাহা তার মা-বাবার সঙ্গে টাউন ফুটবল মাঠের সামনের একটি ভাড়া বসবাস থাকেন।