ইপেপার । আজ সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগরে স্থায়ী বাসস্থানের দাবিতে হরিজন সম্প্রদায়ের মানববন্ধন

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে স্থায়ী বাসস্থানের দাবিতে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার বিরকল সাড়ে ৪টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী রংলাল বলেন, আমরাও মানুষ। কিন্তু সমাজের অনেকে আমাদের মানুষ বলে মনে করে না। আমাদের বাসস্থানের প্রয়োজন। অল্প একটু জায়গার ভিতর আমরা অনেক জন থাকি। খুবই কষ্ট হয় থাকতে। তারপরও আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেয়রের আশায় থাকি, তারা আমাদের স্থায়ী বাসস্থান দেবে। এভাবেই বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, তারপর আমরা স্থায়ী বাসস্থান পাচ্ছি না। একটা জায়গা দিয়েছিল, কিন্তু ওই এলাকার মানুষ সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই আমাদের অন্য কোথাও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিক।
হরিজন তারামনি বলেন, বছরের পর বছর ইউএনও ও মেয়র আমাদের সাথে প্রতারণা করছে। তারা একবার বলছে, হাসপাতালের পাশে, একবার বলছে মাছ বাজারে, একবার বলছে দত্তনগরে স্থায়ী বাসস্থান করে দেবে। কিন্তু দিচ্ছে না। এভাবে প্রতারণা করছে আমাদের সাথে। ইউএনও যদি চাই তাহলে আমাদের অনেক ভালো জায়গায় বাসস্থান করার অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু তিনি আমাদের বাসস্থান করে না দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাঙা শুরু করেছে। বাংলাদেশে মৌলিক চাহিদার ভিতরে বাসস্থান একটা। তাহলে আমাদের সাথে এতো প্রতারণা কেন? যত দিন আমাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা না করবে ততদিন আমরা কোন পরিষ্কার পরিছন্নর কাজ করবো না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে স্থায়ী বাসস্থানের দাবিতে হরিজন সম্প্রদায়ের মানববন্ধন

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা

আপলোড টাইম : ০৮:২১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগরে স্থায়ী বাসস্থানের দাবিতে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে। গতকাল শনিবার বিরকল সাড়ে ৪টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দাবি না মানা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী রংলাল বলেন, আমরাও মানুষ। কিন্তু সমাজের অনেকে আমাদের মানুষ বলে মনে করে না। আমাদের বাসস্থানের প্রয়োজন। অল্প একটু জায়গার ভিতর আমরা অনেক জন থাকি। খুবই কষ্ট হয় থাকতে। তারপরও আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেয়রের আশায় থাকি, তারা আমাদের স্থায়ী বাসস্থান দেবে। এভাবেই বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, তারপর আমরা স্থায়ী বাসস্থান পাচ্ছি না। একটা জায়গা দিয়েছিল, কিন্তু ওই এলাকার মানুষ সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই আমাদের অন্য কোথাও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিক।
হরিজন তারামনি বলেন, বছরের পর বছর ইউএনও ও মেয়র আমাদের সাথে প্রতারণা করছে। তারা একবার বলছে, হাসপাতালের পাশে, একবার বলছে মাছ বাজারে, একবার বলছে দত্তনগরে স্থায়ী বাসস্থান করে দেবে। কিন্তু দিচ্ছে না। এভাবে প্রতারণা করছে আমাদের সাথে। ইউএনও যদি চাই তাহলে আমাদের অনেক ভালো জায়গায় বাসস্থান করার অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু তিনি আমাদের বাসস্থান করে না দিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাঙা শুরু করেছে। বাংলাদেশে মৌলিক চাহিদার ভিতরে বাসস্থান একটা। তাহলে আমাদের সাথে এতো প্রতারণা কেন? যত দিন আমাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা না করবে ততদিন আমরা কোন পরিষ্কার পরিছন্নর কাজ করবো না।