ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

হাসাদাহে ছাগলে গাছ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ

প্রতিবেদক, হাসাদাহ:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে ছাগলে গাছ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় হাসাদাহ মাঝপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৬ এপ্রিল) হাসাদাহ মাঝপাড়ার মখলেছুর রহমানের বাগানে ছাগল ঢুকে বাগানের কয়েকটি ফলজ গাছ নষ্ট করে। এ ঘটনায় ওই বাগানের পাশে অবস্থিত মৃত রবিউলের ছেলে আল-আমিন (২৮) ও তার বোন জুলেখা খাতুনের (২৪) সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যায় এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
মখলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাগানের চারপাশ প্রাচীর দেয়া। আল-আমিনের বোন জুলেখা দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীরের পাশে বালির স্তূপ রেখেছিল। আমি কয়েকবার তাদের বালি সরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা করেনি। রোববার ওই বালির উপরে উঠে প্রাচীর টপকে বাগানে ছাগল ঢুকে কয়েকটি ফলজ গাছ নষ্ট করে। ওই প্রতিবাদ করায় বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী আল-আমিনের বাড়ির পাশে গেলে তারা পুনরায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আল-আমিন, তার স্ত্রী সালমা খাতুন ও বোন জুলেখা আমার স্ত্রীকে ধরে মারধর করে। আমার স্ত্রীর চিৎকারে আমার মেয়ে এগিয়ে গেলে তারা মেয়ের পেটে লাথি মারে। এখন তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করব।’
এ বিষয়ে আল-আমিনের বোন জুলেখা খাতুন বলেন, ‘মখলেছুরের বাগানের পাশে আমার বাড়ি। ওনার বাগানের সামনে অল্প একটু খাস জমি আছে, ওখানে আমি বালি রেখেছিলাম। এ নিয়ে উনি প্রায় দিনই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম, এ সময় ওনার স্ত্রী-মেয়ে এসে গালাগালি করলে আমি তাদেরকে থামতে বলি। তারা না থামলে এক পর্যায়ে একটু হাতাহাতি হয়।’
এদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে আল-আমিন জানান, ‘বুধবার রাতে মখলেছুর ও তার ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। তাদের লাঠির আঘাতে আমার স্ত্রী আহত হয়। স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হাসাদাহে ছাগলে গাছ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহে ছাগলে গাছ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় হাসাদাহ মাঝপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৬ এপ্রিল) হাসাদাহ মাঝপাড়ার মখলেছুর রহমানের বাগানে ছাগল ঢুকে বাগানের কয়েকটি ফলজ গাছ নষ্ট করে। এ ঘটনায় ওই বাগানের পাশে অবস্থিত মৃত রবিউলের ছেলে আল-আমিন (২৮) ও তার বোন জুলেখা খাতুনের (২৪) সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যায় এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
মখলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাগানের চারপাশ প্রাচীর দেয়া। আল-আমিনের বোন জুলেখা দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীরের পাশে বালির স্তূপ রেখেছিল। আমি কয়েকবার তাদের বালি সরিয়ে নেয়ার কথা বললেও তারা করেনি। রোববার ওই বালির উপরে উঠে প্রাচীর টপকে বাগানে ছাগল ঢুকে কয়েকটি ফলজ গাছ নষ্ট করে। ওই প্রতিবাদ করায় বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী আল-আমিনের বাড়ির পাশে গেলে তারা পুনরায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আল-আমিন, তার স্ত্রী সালমা খাতুন ও বোন জুলেখা আমার স্ত্রীকে ধরে মারধর করে। আমার স্ত্রীর চিৎকারে আমার মেয়ে এগিয়ে গেলে তারা মেয়ের পেটে লাথি মারে। এখন তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করব।’
এ বিষয়ে আল-আমিনের বোন জুলেখা খাতুন বলেন, ‘মখলেছুরের বাগানের পাশে আমার বাড়ি। ওনার বাগানের সামনে অল্প একটু খাস জমি আছে, ওখানে আমি বালি রেখেছিলাম। এ নিয়ে উনি প্রায় দিনই আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম, এ সময় ওনার স্ত্রী-মেয়ে এসে গালাগালি করলে আমি তাদেরকে থামতে বলি। তারা না থামলে এক পর্যায়ে একটু হাতাহাতি হয়।’
এদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে আল-আমিন জানান, ‘বুধবার রাতে মখলেছুর ও তার ছেলে লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। তাদের লাঠির আঘাতে আমার স্ত্রী আহত হয়। স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’