আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক বিরোধের জের ধরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ গত বৃহস্পতিবার কোলাবাজারের বিএনপি নেতা তালিয়ান গ্রামের বাবলুর রহমানের ফার্নিচারের দোকানে হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুর রহমান ও তার ভাইপো আফাঙ্গীরকে জখম করে। এ ঘটনার জের ধরে কোলাবাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানায় তারা। ওই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের বনি। প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণে গতকাল তার বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা।
কোলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের বনি জানান, বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মোল্যা ও সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলার নেতৃত্বে প্রায় ২৫০-৩০০ লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এসময় একটি মোটরসাইকেল, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়। এছাড়াও যুবনেতা জলিল আহমেদের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
শেখা খাতুন নামে এক নারী জানান, অনেক মানুষ একসাথে তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তার স্বামী ও দুই ছেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শেখা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ও স্বামী-সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে থেকেছি, আবার এখনো পালাতে হচ্ছে। এর থেকে তাদের মরে যাওয়াই উচিৎ।
বিষয়টি জানতে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লার মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে কালীগঞ্জ বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে আবার কখনো বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় সামাজিক দলের নামে উল্টো বিএনপি সমর্থকদের ভাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, কোলা গ্রামে ভাঙচুরের কথা শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।