চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ নিয়ে দ্বন্দ্বে দুজনকে কুপিয়ে জখম
- আপলোড টাইম : ০৭:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের রুবেল ইসলাম রুবু (৩৫) ও আমিরুল ইসলাম (২৭) নামের দুজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহরের ফেরিঘাট সড়কের লোহাপট্টির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে, জখম গুরুতর হওয়ায় আমিরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। জখম রুবেল ইসলাম পৌর শহরের বেলগাছিপাড়ার মৃত দুলালের ছেলে ও আমিরুল ইসলাম শান্তিপাড়ার সদর আলী ছেলে। এদিকে, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান তরমুজ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় বড় বাজার থেকে একটি তরমুজ বিক্রি ও তা সাদা হওয়ায় ফেরত দিতে আসা নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে বিক্রেতা পক্ষের রুবেল ইসলাম রুবু ও আমিরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করা হয়। জখম আমিরুল বলেন, ‘আমি ও রুবেল পূজাতলার দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে বড় বাজারের উদ্দেশ্যে আসছিলাম। পথের মধ্য ফেরিঘাট সড়কের আগে লোহাপট্টিতে পৌঁছালে ২০ থেকে ৩০ জন আমাদের পথরোধ করে। এসময় কিছু বুঝতে পারার আগেই তারা দা, হাসুয়া, পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমি ও রুবেল রক্তাক্ত জখম হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমি সবাইকে না চিনলেও কয়েকজনের মুখ চিনি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে জরুরি বিভাগে আসে। দুজনের শরীরে ধরালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জখম দুজনের মধ্যে আমিরুলের পায়ের একটি হাড় ভেঙেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জখম গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং রুবেলকে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘তরমুজ বিক্রি ও ফেরত দেয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা দু-পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।