পিস্তল উঁচিয়ে প্রত্যাহার হলেন পুলিশের এক এএসআই
- আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪৫ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর হামলা থেকে বাঁচতে নিজের পিস্তল উঁচিয়ে প্রত্যাহারের শিকার হলেন লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লুৎফর রহমান। গত বুধবার তাকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি মডেল থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুরের পাঁচলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান (উজ্জ্বল) একই গ্রামের সোলাইমান হোসেনের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। গত সোমবার সেই অভিযোগ তদন্তে সোলাইমান হোসেনের বাড়িতে যান লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লুৎফর রহমান ও পুলিশ সদস্য সবুজ হোসেন। এসময় সোলাইমান ও তার পরিবারের সদস্যরা দা, বটি ও হাসুয়া নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করবেন বলে হামলাকারীদের হুঁশিয়ার দেন। কিন্তু তারপরও হামলাকারীরা পুলিশকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। কে বা কারা পুলিশ কর্মকর্তার পিস্তল বের করার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে এএসআই লুৎফরকে ক্লোজ করা হয়।
এএসআই লুৎফর রহমান জানান, পাঁচলিয়া স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাফিজুর আর সোলাইমান হোসেনের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে সোলাইমান হাফিজুরের মোটরসাইকেল কেড়ে নেন বলে থানায় অভিযোগ করেন। ওসির নির্দেশে গত ৭ এপ্রিল সোলাইমানের বাড়িতে অভিযোগ তদন্তে যান তিনি। এসময় সোলাইমান ও তার দলবল চড়াও হলে পিস্তল দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি আরও জানান, ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অথচ তাকেই বলির পাঠা বানানো হলো।
উল্লেখ্য, এর আগে লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার হন পুলিশের আরেক এএসআই শামসুল ইসলাম। তিনিও পাঁচলিয়া গ্রামের একটি চুরির ঘটনায় সালাম নামের এক যুবককে ধরে এনে মারপিট করেন। এরপর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এমন অভিযোগ উঠলে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর গণমাধ্যম কর্মীদের ওই ঘটনার দুটি ভিড়িও চিত্র দেখান।