ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগরের দৌলতগঞ্জ পাড়ায় সুইপার পল্লী স্থাপনের প্রতিবাদ ওয়ার্ডবাসীর

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবাদ

জীবননগর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাসজমি থাকলেও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জীবননগর পৌরসভার দায়িত্বরত প্রশাসক সাধারণ জনগণের লিখিত আবেদন ও গণস্বাক্ষর উপেক্ষা করে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতগঞ্জপাড়ায় সুইপার পল্লী স্থাপনের নির্দেশ দেয়ায় প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাধারণ জনগণের দাবি উপেক্ষা করে দৌলতগঞ্জ পাড়ায় সুইপার পল্লী তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকটি পাওরট্রিলারে করে মাটি আনলে স্থানীয় জনগণ মাটির গাড়ি আটকে দেয় এবং মাটি ফেরত পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর পৌরসভার সুইপাররা দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের মাংস পট্টিতে বসবাস করছে। কিন্তু হঠাৎ জীবননগরের ইউএনও তাদের ওখান থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। নতুন সুইপার পল্লীর জন্য জায়গা ঠিক করেছে জীবননগর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলাতগঞ্জ ঠাকুরতলার কালীমন্দিরের পিছনে। এই এলাকা অনেক ঘনবসতিপূর্ণ, এ জন্য এলাকার মানুষজন এখানে সুইপার পল্লী হতে দেবে না বলে জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিঠু অভিযোগ করে বলেন, ‘দৌলতগঞ্জ একটি ঐতিহ্যের নাম। এই ওয়ার্ডের নামকরণেই জীবননগরের দৌলতগঞ্জ হিসেবে পরিচিত। এখানে শিক্ষিত লোক বসবাস করে, তাছাড়া এখানে সুইপার পল্লী হলে সাধারণ মানুষের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছি, তিনি বলেন, এটা এসিল্যান্ডের দায়িত্ব, আপনি এসিল্যান্ডর সাথে কথা বলেন। আমি তার কথা মতো এসিল্যান্ডকে বলি, এসিল্যান্ড বলেন, এটা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই তারা এখানে মাটি ফেলার চেষ্টা করে এবং সাধারণ জনগণ মাটি বন্ধ করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই জীবননগর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস জমি আছে, ইউএনও সাহেব সেগুলো দেখে তাদের সেখানে স্থানান্তর করুক। আমরা এখানে কখনোই সুইপার পল্লী হতে দেব না। এর জন্য দরকার হলে আমরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পলাশ হোসেন বলেন, দৌলতগঞ্জ পাড়ায় যাতে সুইপার পল্লী না হয়, সে জন্য ওয়ার্ডবাসী ইউএনওর কাছে একটি গণস্বাক্ষর দিয়েছে। তারপরও ইউএনও সাহেব কোনো কর্ণপাত না করেই তার ইচ্ছা মতো কাজ করছে। আমরা এখানে কখনই সুইপার পল্লী হতে দেব না।

জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাজাহান কবির বলেন, জীবননগর পৌরসভায় তো সরকারি খাস জমির অভাব নেই। ইউএনও এত জমি রেখে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে ঐতিহ্যবাহী দৌলতগঞ্জ পাড়ায় কীভাবে সুইপার পল্লী তৈরি করছে। এখানে একটি ঘনবসতি এলাকা, তাছাড়া এখানে সুশীল সমাজের মানুষ বসবাস করে থাকে। এখানে কোনোভাবেই সুইপার পল্লী তৈরি করতে দেয়া হবে না।

এ বিষয় জীবননগর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল কাসেমের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরের দৌলতগঞ্জ পাড়ায় সুইপার পল্লী স্থাপনের প্রতিবাদ ওয়ার্ডবাসীর

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাসজমি থাকলেও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জীবননগর পৌরসভার দায়িত্বরত প্রশাসক সাধারণ জনগণের লিখিত আবেদন ও গণস্বাক্ষর উপেক্ষা করে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতগঞ্জপাড়ায় সুইপার পল্লী স্থাপনের নির্দেশ দেয়ায় প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাধারণ জনগণের দাবি উপেক্ষা করে দৌলতগঞ্জ পাড়ায় সুইপার পল্লী তৈরি করার জন্য বেশ কয়েকটি পাওরট্রিলারে করে মাটি আনলে স্থানীয় জনগণ মাটির গাড়ি আটকে দেয় এবং মাটি ফেরত পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর পৌরসভার সুইপাররা দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের মাংস পট্টিতে বসবাস করছে। কিন্তু হঠাৎ জীবননগরের ইউএনও তাদের ওখান থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। নতুন সুইপার পল্লীর জন্য জায়গা ঠিক করেছে জীবননগর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলাতগঞ্জ ঠাকুরতলার কালীমন্দিরের পিছনে। এই এলাকা অনেক ঘনবসতিপূর্ণ, এ জন্য এলাকার মানুষজন এখানে সুইপার পল্লী হতে দেবে না বলে জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিঠু অভিযোগ করে বলেন, ‘দৌলতগঞ্জ একটি ঐতিহ্যের নাম। এই ওয়ার্ডের নামকরণেই জীবননগরের দৌলতগঞ্জ হিসেবে পরিচিত। এখানে শিক্ষিত লোক বসবাস করে, তাছাড়া এখানে সুইপার পল্লী হলে সাধারণ মানুষের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেছি, তিনি বলেন, এটা এসিল্যান্ডের দায়িত্ব, আপনি এসিল্যান্ডর সাথে কথা বলেন। আমি তার কথা মতো এসিল্যান্ডকে বলি, এসিল্যান্ড বলেন, এটা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই তারা এখানে মাটি ফেলার চেষ্টা করে এবং সাধারণ জনগণ মাটি বন্ধ করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই জীবননগর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস জমি আছে, ইউএনও সাহেব সেগুলো দেখে তাদের সেখানে স্থানান্তর করুক। আমরা এখানে কখনোই সুইপার পল্লী হতে দেব না। এর জন্য দরকার হলে আমরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পলাশ হোসেন বলেন, দৌলতগঞ্জ পাড়ায় যাতে সুইপার পল্লী না হয়, সে জন্য ওয়ার্ডবাসী ইউএনওর কাছে একটি গণস্বাক্ষর দিয়েছে। তারপরও ইউএনও সাহেব কোনো কর্ণপাত না করেই তার ইচ্ছা মতো কাজ করছে। আমরা এখানে কখনই সুইপার পল্লী হতে দেব না।

জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শাজাহান কবির বলেন, জীবননগর পৌরসভায় তো সরকারি খাস জমির অভাব নেই। ইউএনও এত জমি রেখে মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে ঐতিহ্যবাহী দৌলতগঞ্জ পাড়ায় কীভাবে সুইপার পল্লী তৈরি করছে। এখানে একটি ঘনবসতি এলাকা, তাছাড়া এখানে সুশীল সমাজের মানুষ বসবাস করে থাকে। এখানে কোনোভাবেই সুইপার পল্লী তৈরি করতে দেয়া হবে না।

এ বিষয় জীবননগর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল কাসেমের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।