আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী গ্রামে ধর্ষণচেষ্টা মামলার রায়
এক বখাটের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড- আপলোড টাইম : ০৮:৪১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ী গ্রামে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মো. মিঠুন (২৪) নামের এক বখাটের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত মো. মিঠুন ঘোলদাড়ী গ্রামের মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুলাই দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির চার ছাত্রীকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মো. মিঠুন চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ধইঞ্চা খেতে ডাকেন। পরে পর্যায়ক্রমে চারজনকে ডেকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তারা চিৎকার শুরু করলে মিঠুন পালিয়ে যান। এরপর বিকেলে ভিক্টিমের এক ভাই তানভীর মো. মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাকে বাঁশের লাঠি দ্বারা গুরুতর জখম করেন। গুরুতর আহত তানভীরকে আলমডাঙ্গার হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভিক্টিম এক শিশুর বাবা আলমডাঙ্গা থানায একটি মামলা দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোকুল চন্দ্র অধিকারী মামলার তদন্ত শেষে মো. মিঠুনকে একমাত্র আসামি করে ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ) তৎসহ ৩২৩ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. মিঠুনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদোয়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এম এম শাহজাহান মুকুল ও আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান।