ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা বিতরণকালে ডিসি জহিরুল ইসলাম

সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ২৩২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে জেলা পরিষদের এককালীন শিক্ষাবৃত্তির ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে এ চেক তুলে দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মির্জা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলী, হিসাবরক্ষক আসলাম উদ্দিন, গোপনীয় সহকারী (সিএ) জালাল উদ্দিন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পর্যায়ে ৪ হাজার টাকা করে ১২১ জন, বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা করে ৮৪ জন, মেডিকেল/ডেন্টাল পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা করে ১৫ জন এবং প্রকৌশল পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা করে ১২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, মেধাবী হওয়ার পিছনে অভিভাবক ও সন্তানদেরও অবদান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি সন্তানদেরও পরিচয় যেন আমরা গর্ব করে দিতে পারি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাবৃত্তির টাকাটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সুন্দরভাবে পড়াশুনা করবে। এখন কিন্তু সরকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছে। প্রতি বুধবার গণশুনানি হয়। সেখানে বেশিরভাগই শিক্ষার সহযোগিতার আবেদন থাকে। অনেকের প্রাইভেট পড়ার সমস্যা হলেও জেলা প্রশাসন থেকে সে বিষয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়। জেলা পরিষদ থেকেও সহযোগিতা দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে বিনিয়োগ করলে মেধার মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতা আগামীতেও করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ২১০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তির দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে আবেদন জমা পড়ে ৩১৩ জনের। তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে মোট ২৩২ জনকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থী একই নম্বর পাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া যায়নি। এখানে যারা এসেছে তারা সকলেই মেধাবী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা বিতরণকালে ডিসি জহিরুল ইসলাম

সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে

আপলোড টাইম : ০৯:২২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ২৩২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে জেলা পরিষদের এককালীন শিক্ষাবৃত্তির ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে এ চেক তুলে দেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মির্জা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলী, হিসাবরক্ষক আসলাম উদ্দিন, গোপনীয় সহকারী (সিএ) জালাল উদ্দিন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পর্যায়ে ৪ হাজার টাকা করে ১২১ জন, বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা করে ৮৪ জন, মেডিকেল/ডেন্টাল পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা করে ১৫ জন এবং প্রকৌশল পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা করে ১২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, মেধাবী হওয়ার পিছনে অভিভাবক ও সন্তানদেরও অবদান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি সন্তানদেরও পরিচয় যেন আমরা গর্ব করে দিতে পারি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাবৃত্তির টাকাটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সুন্দরভাবে পড়াশুনা করবে। এখন কিন্তু সরকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছে। প্রতি বুধবার গণশুনানি হয়। সেখানে বেশিরভাগই শিক্ষার সহযোগিতার আবেদন থাকে। অনেকের প্রাইভেট পড়ার সমস্যা হলেও জেলা প্রশাসন থেকে সে বিষয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়। জেলা পরিষদ থেকেও সহযোগিতা দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এখানে বিনিয়োগ করলে মেধার মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতা আগামীতেও করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ২১০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তির দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে আবেদন জমা পড়ে ৩১৩ জনের। তাদের মধ্যে থেকে বাছাই করে মোট ২৩২ জনকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থী একই নম্বর পাওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া যায়নি। এখানে যারা এসেছে তারা সকলেই মেধাবী।