কৌশলে জমি লিখে নিয়ে স্থানীয় বৈঠকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভঙ্গ
প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন
- আপলোড টাইম : ১১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গার হাজী মোড়ের ইলেকট্রনিক্স মেকার ও ব্যবসায়ী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে কৌশলে জমি লিখে নেওয়ার পর স্থানীয় বৈঠকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি ফেরত না দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান বাবুজান শেখের ভাই আইনাল হক। এ অভিযোগে গতকাল বুধবার রাত ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আইনাল হক বলেন, ‘আমার ভাই কামরুজ্জামান বাবুজান শেখ হাজী মোড়ে নিজ জমিতে মিল বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তার জমির পাশেই আমার চাচাতো বোনের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি ও যন্ত্রপাতি মেরামতের কাজ করেন আসাননগর গ্রামের সোহাগ আলী। এক পর্যায়ে সোহাগ আলীর নজর পড়ে আমার ভাইয়ের জমির ওপর। সে প্রলোভন দেখায় যে, প্রয়োজনে আমার ভাই তার কাছ থেকে টাকা ধার নিতে পারে। সরল বিশ্বাসে আমার ভাই বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে দু-এক হাজার টাকা করে ধার নেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ধার নেওয়া টাকাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে সোহাগ আলী দাবি করে যে, সে অনেক টাকা পাবে। পরে চাপ প্রয়োগ করে আমার ভাইকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে গোপনে তার স্ত্রী খালেদা খাতুনের নামে ২২ শতক জমি লিখে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে আমরা একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করি। সেখানে উপস্থিতরা জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সোহাগ আলী জানায়, জমি খারিজ করে দিলে সে পুনরায় জমি রেজিস্ট্রি করে দেবে। তার কথামতো আমরা জমি খারিজ করে দিই। কিন্তু নির্ধারিত দিনে রেজিস্ট্রি অফিসে আমরা উপস্থিত হলেও সোহাগ আলী তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেনি। এখন সে জানিয়ে দিয়েছে, জমি আর রেজিস্ট্রি করবে না। এভাবে সে আমার ভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আইনাল হক এ প্রতারণার বিচার ও জমি ফেরতের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন।