সাগান্না বাঁওড় তুমি কার?
- আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৭ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাওড়ের ১২৬.৪৫ একর বিল শ্রেণির জমির মধ্যে ২৯.৯০ একর জমির মালিকানা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেড়াদী গ্রামের ৩৫ ব্যক্তি। তাদের দাবি, এসএ ও আরএস রেকর্ডে জমিগুলো তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। তারপরও সরকার এই জমি ইজারা দিয়েছে। দখলের চেষ্টা করছেন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাদেব রায়।
তবে ঝিনাইদহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস বলেছেন, সিএস রেকর্ডে নড়াইল জমিদার এস্টেটের নামে ১২৬.৪৫ একর জমি রেকর্ডভুক্ত ছিল। এসএ এবং আরএস রেকর্ডে ২৯.৯০ একর জমি এলাকার কিছু মানুষ তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। একাধিক মামলায় সরকারপক্ষে রায় দেন আদালত। ফলে গোটা জমি সরকারের, বিল শ্রেণির জমি ব্যক্তি মালিকানায় যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার বিল শ্রেণির এই জমি কাউকে প্রদান করবে না এবং কেউ দখল করতে গেলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির পার্শ্ববর্তী সাগান্না বাওড়ের জলমহাল ইজারা দেওয়ার সময় সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বেড়াদী গ্রামের জমিও অন্তর্ভুক্ত করছে। যা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাওড়ের (বেড়াদী মৌজাভুক্ত) মোট জমির পরিমাণ ১২৬.৪৫ একর। এই জমি নড়াইল জমিদার এস্টেটের মালিকানাধীন ছিল। পরে জমিদারি বিলুপ্ত হলে ১৬৭ নং দাগভুক্ত ওই সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে চলে যায়। তবে একই দাগভুক্ত মোট জমির মধ্যে ২৯.৯০ একর জমি সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামের কিছু ব্যক্তি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেয়। এসএ ও আরএস রেকর্ড মূলে বেড়াদী গ্রামের লোকজন ওই জমি ভোগদখল করলেও সরকার প্রতি বছর দরপত্রের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের কাছে ইজারা দিয়ে আসছে।
এদিকে একই দাগে থাকা বিল শ্রেণির জমির কিছু অংশের শ্রেণি পরিবর্তন করে ব্যক্তির নামে রেকর্ডের ঘটনাটি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তারা মামলা করেন। মামলার রায়ে মোট ১২৬.৪৫ একর জমির মালিকানা সরকারের বলে ঘোষিত হয়। রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার আপিল করলেও রায় সরকারের অনুকূলেই রায় দেন আদালত।
গত মঙ্গলবার হলিধানী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা লিটন হোসেন সাগান্না বাওড়ে বেদখল হওয়া সরকারি জমিতে লাল নিশানা উঠাতে গেলে বাধা দেয় সংবাদ সম্মেলনকারীরা। ওই জমির দখল নিয়ে বেড়াদী গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে সাগান্না বাঁওড় আসলে কার ?