ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগরে হাসাদাহে জোর করে অসহায় পরিবারের ঘর ভেঙে উচ্ছেদের প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

প্রতিবেদক, হাসাদাহ:
  • আপলোড টাইম : ০৮:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের ঘুষিপাড়ায় দীর্ঘ ২০-২৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলেন মৃত রহিম বক্সের ছেলে মোমিন উদ্দিন। তবে অভিযোগ উঠেছে, গত ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি লিটন মোল্লা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাঈমের উপস্থিতিতে তাদের ঘরবাড়ি ভেড়ে উচ্ছেদ করে দেন প্রতিবেশী মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোমিন (৪৭), তার ছেলে ইমন (২৬), পিয়ার আলী, (৩৫), আকাশ (২৫) জিয়াউদ্দিন (৩০), আশাদুল হক আশা (৩৫), জুলু মন্ডল (৫০)-সহ কয়েকজন। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে রহিম বক্সের ছেলে মোমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমার ফুফু মোমেনা খাতুন আমাকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। আমি দীর্ঘ ২০-২৫ বছর যাবত সেখানে বসবাস করে আসছিলাম। তবে হঠাৎ করে গত ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির উপস্থিতিতে তারা আমাদের ঘরে ভেঙে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। এখন আমাদের থাকার জায়গা নেই। এখন আমি আর আমার ছেলে আমাদের চায়ের দোকানে থাকি আর আমার বউ ও মেয়ে পাশের একজনের বাড়িতে থাকেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই বাড়ি ভাঙার বিচার চায়। আমাদের ঘর ও গোয়ালঘর বানাতে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। ঘরে এক লাখ টাকা ছিল। সব তারা লুট করেছে।’
এ বিষয়ে মানববন্ধনে আসা নারী ও পুরুষেরা বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ ঘরবাড়ি ভেঙে এক পরিবারকে উচ্ছেদ করা অন্যায় হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’ এ বিষয়ে জানাতে ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লিটন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। আর একজনের ঘর ভাঙা ঠিক হয়েছে কি জানতে চাইলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাঈম কৌশলে এড়িয়ে যান। আর ঘর ভাঙার সময় তিনি সেখানে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ কি প্রমাণ দিতে পারবে? তবে তিনি ভেঙে দেওয়ার ঘরের জমির মালিক মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোমিন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে হাসাদাহ ফাঁড়ির এসআই মো. হাবিব হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে এলাকার বিএনপির নেতারা বলল বিষয়টি আমরা দেখতেছি। তারা থানায় বলেছে। আমার থেকে বিষয়টি ওসি স্যার ভালো জানেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে হাসাদাহে জোর করে অসহায় পরিবারের ঘর ভেঙে উচ্ছেদের প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ০৮:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের ঘুষিপাড়ায় দীর্ঘ ২০-২৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলেন মৃত রহিম বক্সের ছেলে মোমিন উদ্দিন। তবে অভিযোগ উঠেছে, গত ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি লিটন মোল্লা ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাঈমের উপস্থিতিতে তাদের ঘরবাড়ি ভেড়ে উচ্ছেদ করে দেন প্রতিবেশী মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোমিন (৪৭), তার ছেলে ইমন (২৬), পিয়ার আলী, (৩৫), আকাশ (২৫) জিয়াউদ্দিন (৩০), আশাদুল হক আশা (৩৫), জুলু মন্ডল (৫০)-সহ কয়েকজন। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে রহিম বক্সের ছেলে মোমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমার ফুফু মোমেনা খাতুন আমাকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। আমি দীর্ঘ ২০-২৫ বছর যাবত সেখানে বসবাস করে আসছিলাম। তবে হঠাৎ করে গত ৭ এপ্রিল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির উপস্থিতিতে তারা আমাদের ঘরে ভেঙে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। এখন আমাদের থাকার জায়গা নেই। এখন আমি আর আমার ছেলে আমাদের চায়ের দোকানে থাকি আর আমার বউ ও মেয়ে পাশের একজনের বাড়িতে থাকেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই বাড়ি ভাঙার বিচার চায়। আমাদের ঘর ও গোয়ালঘর বানাতে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। ঘরে এক লাখ টাকা ছিল। সব তারা লুট করেছে।’
এ বিষয়ে মানববন্ধনে আসা নারী ও পুরুষেরা বলেন, ‘এভাবে হঠাৎ ঘরবাড়ি ভেঙে এক পরিবারকে উচ্ছেদ করা অন্যায় হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’ এ বিষয়ে জানাতে ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি লিটন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। আর একজনের ঘর ভাঙা ঠিক হয়েছে কি জানতে চাইলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাঈম কৌশলে এড়িয়ে যান। আর ঘর ভাঙার সময় তিনি সেখানে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ কি প্রমাণ দিতে পারবে? তবে তিনি ভেঙে দেওয়ার ঘরের জমির মালিক মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোমিন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে হাসাদাহ ফাঁড়ির এসআই মো. হাবিব হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে এলাকার বিএনপির নেতারা বলল বিষয়টি আমরা দেখতেছি। তারা থানায় বলেছে। আমার থেকে বিষয়টি ওসি স্যার ভালো জানেন।’