ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ: বিরোধিতা করলেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। বলেছেন, এভাবে শুল্ক দেয়া ঠিক হয়নি। এতে আমেরিকার ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে বলে যুক্তি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করে না বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। কেননা, এতে মার্কিন ক্রেতাদের জীবন বিঘ্নিত হবে। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ওপর ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে এসব কথা বলেছেন ক্রুগম্যান।
সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বন্ধুস্থানীয় ও প্রতিবেশী দেশেও উৎপাদন করা প্রয়োজন, এতে সরবরাহব্যবস্থার ওপর ভরসা করা যায়। এই উভয় বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, যদি আমরা এমনটাই চাইতাম তাহলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক আরোপ করতাম না। কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপরও শুল্ক আরোপ করতাম না।
আলোচনায় মার্কিন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ রবার্ট লাইথিজারের প্রসঙ্গ তোলেন পল ক্রুগম্যান। ট্রাম্প প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা আসলে এমন লোক সন্ধান করছিল যারা রাজা যা শুনতে চায় তাই বলবে। এ বিষয়ে আমার কাছে একটি গল্প সত্যিই বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে; রবার্ট লাইথিজার হচ্ছেন ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সংরক্ষণবাদী কণ্ঠস্বর। বাণিজ্যের নীতি বিতর্কে তাকে এক ধরনের শয়তানী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারপরেও তিনি সম্মানিত; কারণ তিনি স্পষ্টভাবে কাজ সম্পর্কে জানেন। মানুষ ধরেই নিয়েছিল তিনি এই প্রশাসনে বড় দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, এর কারণ হচ্ছে তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ; যে কারণে ট্রাম্প প্রশাসনে আসা হয়নি তার। আসলে হয়তো তিনি বলতেন- না, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ: বিরোধিতা করলেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করেছেন নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান। বলেছেন, এভাবে শুল্ক দেয়া ঠিক হয়নি। এতে আমেরিকার ভোক্তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে বলে যুক্তি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করে না বলেও মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। কেননা, এতে মার্কিন ক্রেতাদের জীবন বিঘ্নিত হবে। মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ওপর ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে এসব কথা বলেছেন ক্রুগম্যান।
সাক্ষাৎকারে ক্রুগম্যান বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বন্ধুস্থানীয় ও প্রতিবেশী দেশেও উৎপাদন করা প্রয়োজন, এতে সরবরাহব্যবস্থার ওপর ভরসা করা যায়। এই উভয় বিবেচনায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দেশের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, যদি আমরা এমনটাই চাইতাম তাহলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক আরোপ করতাম না। কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপরও শুল্ক আরোপ করতাম না।
আলোচনায় মার্কিন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ রবার্ট লাইথিজারের প্রসঙ্গ তোলেন পল ক্রুগম্যান। ট্রাম্প প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা আসলে এমন লোক সন্ধান করছিল যারা রাজা যা শুনতে চায় তাই বলবে। এ বিষয়ে আমার কাছে একটি গল্প সত্যিই বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে; রবার্ট লাইথিজার হচ্ছেন ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সংরক্ষণবাদী কণ্ঠস্বর। বাণিজ্যের নীতি বিতর্কে তাকে এক ধরনের শয়তানী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারপরেও তিনি সম্মানিত; কারণ তিনি স্পষ্টভাবে কাজ সম্পর্কে জানেন। মানুষ ধরেই নিয়েছিল তিনি এই প্রশাসনে বড় দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, এর কারণ হচ্ছে তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ; যে কারণে ট্রাম্প প্রশাসনে আসা হয়নি তার। আসলে হয়তো তিনি বলতেন- না, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক নয়।