চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে তিন কন্যার জননীর মৃত্যু
- আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়ায় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আঙ্গুরা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূর করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ির কলেরপাড়ে ছোট মেয়ের কাপড় পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। নিহত আঙ্গুরা খাতুন কুতুবপুর ইউনিয়নের দত্তাইল গ্রামের মাঝেরপাড়ার আলমগীর মোল্লার মেয়ে এবং গাড়াবাড়িয়া মাদরাসাপাড়ার মো. খাজার স্ত্রী। তিনি তিনটি অবুঝ কন্যাশিশুর জননী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে ছোট মেয়ে নুসরাতের (১০ মাস বয়স) পোশাক পরিষ্কার করার জন্য কলেরপাড়ে যান আঙ্গুরা খাতুন। এসময় বৈদ্যুতিক মোটর চালু করার সময় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেরপাড়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাড়িতে থাকা তার বড় মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (৯) বেশকিছুক্ষণ পর কলপাড়ে গেলে নিজ মাকে অচেতন অবস্থায় প্লাস্টিকের বালতির ওপর পড়ে থাকতে দেখে। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থল থেকে আঙ্গুরাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেন বাপ্পির স্ত্রী সিমা জানান, ‘আঙ্গুরার বড় মেয়ে ইয়াসমিনের হৃদয়বিদারক কান্না শুনে আমরা ছুটে যাই। গিয়ে দেখি, আঙ্গুরা আপু অচেতন হয়ে কলেরপাড়ে পড়ে আছেন, প্লাস্ট্রিকের বালতি তার নিচে ছিল। আর তার হাত পোড়া। এমন দৃশ্য সহ্য করার মতো না। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন জানান, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আঙ্গুরা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে পারি। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এদিকে, তিন অবুঝ শিশুকন্যাকে পেছনে ফেলে অকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো আঙ্গুরা খাতুনের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কাঁদছে তার ছোট্ট শিশুরাও, যাদের এখনো বোঝার বয়স হয়নি-তাদের মা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না।