আলমডাঙ্গায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের বিশেষ অভিযান
ওয়ানশুটার গান ও দেশীয় অস্ত্রসহ দুজন গ্রেপ্তার
- আপলোড টাইম : ০৮:৪০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, ২৪টি মামলার আসামি ও তার একান্ত সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির গোপন সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আলমডাঙ্গা থানার একাধিক মামলার আসামি পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম (৩২) এবং তার সহযোগী আতাউর রহমান রকিকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের দূর্লভপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ও আতাউর রহমান রকি আলমডাঙ্গা বাজারপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে শহরে রাত্রীকালীন বিশেষ অভিযানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, দুর্লভপুর গ্রামের পিয়াল মাহমুদ সাদ্দামের মুরগীর সেডে কয়েকজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদ যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ওসি মাসুদুর রহমান ছদ্মবেশে অফিসার ফোর্সসহ রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করে। তবে ছদ্মবেশী অফিসারগণ সুকৌশলে ঘিরে ফেলে পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম ও আতাউর রহমান রকিকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় গোপন বৈঠকে থাকা অন্যান্য অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়।
থানা সূত্র আরও জানা যায়, আটককৃতরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য। তারা মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় ব্যবসায়ী এবং গডফাদার বলেও তথ্য রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, তাদের সহযোগী পলাতক আসামিদের সহায়তায় তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই স্থানে অস্ত্রসহ সমবেত হয়েছিল।
আটকের সময় তাদের নিকট থেকে পুলিশ একটি ওয়ানশুটার গান (লোহার বাটসহ, দৈর্ঘ্য ৯.৫০ ইঞ্চি, ফায়ারিং পিন ও ট্রিগারসহ), একটি রামদা, ৫২ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল, একটি নেভি ব্লু রঙের ১১৫ সিসি মোটরসাইকেল ও লাল রঙের ১০০ সিসি’র আরও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গতকাল গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে তিনটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, পিয়াল মাহমুদ সাদ্দাম ও তার গ্রুপ দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তবে আমরা কৌশলে ২৪ মামলার আসামি সাদ্দাম ও তার সহযোগী রকিকে অস্ত্রসহ আটক করি। তাদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত আছে।’