ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ঈদের ছুটিতেও চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বিরামহীন সেবা

সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রেও সেবা গ্রহীতাদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০১:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন সরকারি, আর্থিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলে যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে, এ জন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষ থেকে ছুটিকালীন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতেও বিরামহীন সেবা কার্যক্রম চালিয়েছে চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আওয়াতাধীন সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।

জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি চলমান থাকলেও গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা ও কিশোর কিশোরী সেবাসহ গ্রহীতার চাহিদা অনুসারে পরিবার পরিকল্পনা সেবা চালু রাখা হয় কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে সেবাগ্রহীতারা ভীষণ খুশি।

চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ছুটির মধ্যেও গর্ভকালীন সেবার সংখ্যা ১৫ জন, নরমাল ডেলিভারি ৫ জন, প্রসবপরবর্তী সেবা ৫ জন, নবজাতক সেবা ৫ জন, সাধারণ রোগী ১০ জন, শিশু সেবা ২ জন। এছাড়াও স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ২জন এবং অস্থায়ী স্বল্প মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা কার্যক্রমও অব্যহত থেকেছে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে ছুটির মধ্যেও গর্ভকালীন সেবার সংখ্যা ৩১ জন, নরমাল ডেলিভারি ৭ জন, প্রসবপরবর্তী সেবা ১৩ জন, নবজাতক সেবা ৭ জন, সাধারণ রোগী ৫৯ জন, শিশু সেবা ২ জন। এছাড়াও স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ৪জন এবং অস্থায়ী স্বল্প মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ৫ জন। ছুটিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ৩৫ জন গর্ভবতী মায়েরা সেবা নিয়েছেন।

এছাড়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ জামজামি, কালিদাসপুর ও পৌরসভার সদর পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ও কুমারী এই চারটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ সেবা প্রদান করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়ে গত শুক্রবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৮ দিন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। সেবাগুলোর মধ্যে ছিল উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ৩০ জন গর্ভবতী মাকে গর্ভকালীন সেবা ও পরামর্শ প্রদান, ৪টি কেন্দ্রে মোবাইল নম্বরসহ সংরক্ষিত গর্ভবতী তালিকা থেকে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ৩৫ জন গর্ভবতী মাকে গর্ভবতী সেবা ও পরামর্শ প্রদান, ২০ জন মা’কে প্রসব উত্তর সেবা প্রদান ও ২৫ জন শিশুকে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিভিত্তিক সেবা প্রদান করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. সামসুন্নাহার শম্পা ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতেও মা ও শিশুরা যেন সার্বক্ষণিক সেবা পান সে লক্ষ্যেই আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। কারণ সবার ঊর্ধ্বে মানব সেবা। কর্মীরা সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ছুটির সময়ে শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২টি নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয়েছে। এদিকে, বর্তমানে মা এবং নবজাতক সবাই সুস্থ আছেন। ঈদের ছুটিতে সেবা পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি এই সেবা আগামীতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঈদের ছুটিতেও চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বিরামহীন সেবা

সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রেও সেবা গ্রহীতাদের ভিড়

আপলোড টাইম : ০১:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির কবলে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন সরকারি, আর্থিক এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ। দীর্ঘ ছুটির কারণে গ্রামাঞ্চলে যাতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব না পড়ে, এ জন্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক এবং বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষ থেকে ছুটিকালীন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতেও বিরামহীন সেবা কার্যক্রম চালিয়েছে চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আওয়াতাধীন সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।

জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি চলমান থাকলেও গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা ও কিশোর কিশোরী সেবাসহ গ্রহীতার চাহিদা অনুসারে পরিবার পরিকল্পনা সেবা চালু রাখা হয় কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে সেবাগ্রহীতারা ভীষণ খুশি।

চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ছুটির মধ্যেও গর্ভকালীন সেবার সংখ্যা ১৫ জন, নরমাল ডেলিভারি ৫ জন, প্রসবপরবর্তী সেবা ৫ জন, নবজাতক সেবা ৫ জন, সাধারণ রোগী ১০ জন, শিশু সেবা ২ জন। এছাড়াও স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ২জন এবং অস্থায়ী স্বল্প মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা কার্যক্রমও অব্যহত থেকেছে।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে ছুটির মধ্যেও গর্ভকালীন সেবার সংখ্যা ৩১ জন, নরমাল ডেলিভারি ৭ জন, প্রসবপরবর্তী সেবা ১৩ জন, নবজাতক সেবা ৭ জন, সাধারণ রোগী ৫৯ জন, শিশু সেবা ২ জন। এছাড়াও স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ৪জন এবং অস্থায়ী স্বল্প মেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা নিয়েছেন ৫ জন। ছুটিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ৩৫ জন গর্ভবতী মায়েরা সেবা নিয়েছেন।

এছাড়া, আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ জামজামি, কালিদাসপুর ও পৌরসভার সদর পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক ও কুমারী এই চারটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ সেবা প্রদান করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়ে গত শুক্রবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৮ দিন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। সেবাগুলোর মধ্যে ছিল উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ৩০ জন গর্ভবতী মাকে গর্ভকালীন সেবা ও পরামর্শ প্রদান, ৪টি কেন্দ্রে মোবাইল নম্বরসহ সংরক্ষিত গর্ভবতী তালিকা থেকে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ৩৫ জন গর্ভবতী মাকে গর্ভবতী সেবা ও পরামর্শ প্রদান, ২০ জন মা’কে প্রসব উত্তর সেবা প্রদান ও ২৫ জন শিশুকে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিভিত্তিক সেবা প্রদান করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. সামসুন্নাহার শম্পা ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতেও মা ও শিশুরা যেন সার্বক্ষণিক সেবা পান সে লক্ষ্যেই আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। কারণ সবার ঊর্ধ্বে মানব সেবা। কর্মীরা সবসময় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ছুটির সময়ে শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২টি নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয়েছে। এদিকে, বর্তমানে মা এবং নবজাতক সবাই সুস্থ আছেন। ঈদের ছুটিতে সেবা পেয়ে তারা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি এই সেবা আগামীতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।