আনন্দের ঈদযাত্রা হোক স্বস্তিদায়ক
- আপলোড টাইম : ০৪:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
- / ৩৬ বার পড়া হয়েছে
মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় লাখো মানুষ দেশের শহরাঞ্চল থেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যান। উদ্দেশ্য, প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। কিন্তু প্রত্যেকবারই দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে যাত্রপথে দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। আশার কথা, এবার এখন পর্যন্ত সে রকম অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। গত দুই দিনে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীসাধারণকে কোনো ধরনের দুর্ভোগ-বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। যারা ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন তাদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। ২৮ মার্চ শুক্রবার ও ২৯ মার্চ শনিবার সাপ্তাহিক দু’দিনের ছুটি শেষে ৩০ মার্চ রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ঈদের ছুটি। ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলবে আগামী ৬ এপ্রিল রোববার। এদিকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর রাস্তাগুলোতে গাড়ি কম, বাজারে মানুষ কম, সড়কে নেই যানজট। গত বৃহস্পতিবার একদিন সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-আদালত খোলা থাকলেও বাস্তবে রাজধানী ঢাকায় ওই দিন থেকে বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। গত বুধবার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন থেকে শুরু হয়েছে এই আমেজ। এমন অবস্থায় ঢাকার মার্কেট-বিপণিবিতানে নেই অতীতের মতো ক্রেতার ভিড়।
গতকাল শুক্রবার থেকে রাজধানী ঢাকার মানুষ নিজ গন্তব্যে ছুটতে শুরু করেছেন। স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে মানুষজন সড়ক, রেল ও নৌপথে নিজ নিজ গন্তব্যে ঈদযাত্রা করছেন। সংবাদমাধ্যমের খবর, ট্রেনের সময়সূচিতে সামান্য একটু আধটু দেরি হলেও গত দুই দিনে যাত্রীদের কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। গাড়ির চাপ বাড়লেও সড়কপথে এখনো স্বস্তিদায়ক অবস্থা বিরাজ করছে। মহাসড়কগুলোতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন অনেকে।
পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করায় রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘরমুখী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। গতকাল শুক্রবারও স্বাচ্ছন্দ্যে ঢাকা ছেড়েছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে চলবে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকার বাস-লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ বাড়লেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না কাউকে। এবার ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাজধানীর সব বাসস্টেশনে যাত্রীদের চাপ আগের চেয়ে কম। ফলে সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে তুলনামূলক ভিড় কম। এর একটি কারণ এই হতে পারে যে, এবার ঈদের আগে বাড়িতে যেতে হাতে সময় বেশি পাওয়া গেছে। তাই মানুষজন ধীরে-সুস্থে ঢাকা ছাড়ছেন। এতে করে যাত্রীচাপ যেমন আগের চেয়ে কমেছে, তেমনি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে না; বরং স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারছেন ঈদযাত্রীরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, বাসের ভাড়া বেশি নেয়ার। এ দিকটির প্রতি সরকারের সজাগ দৃষ্টি থাকা জরুরি। ঈদে এবার এখনো ঘরমুখো মানুষের যে স্বস্তি রয়েছে, শেষ পর্যন্ত তা বহাল থাকবে-সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।