ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বাঁচানো গেল না আগুনে দগ্ধ শিশু তাবাসসুমকে

প্রতিবেদক, তিতুদহ:
  • আপলোড টাইম : ০৬:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে

আগুনে দগ্ধ শিশু তাবাসসুম (৩৮ দিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মত্যু হয়। নিহত তাবাসসুম চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ নম্বর আড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম ও ঝর্ণা খাতুন দম্পতির তৃতীয় কন্যা। গত ১৪ মার্চ শুক্রবার সকালে সরকারি আবাসনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বিছানার মশারি ও কাঁথায় আগুন লাগে। এতে ঘুমন্ত তাবাসসুম গুরুতর দগ্ধ হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একদিন চিকিৎসার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। টানা ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সে মারা যায়।
মানবতার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আমরা তাবাসসুমের পাশে ছিলাম। তার চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানানো হলে দেশজুড়ে সাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। ২৩ মার্চ রাতেও তার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, তাবাসসুম সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। তার নিষ্পাপ মুখ এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।’ এদিকে, গতকাল রাতেই তাবাসসুমের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বাঁচানো গেল না আগুনে দগ্ধ শিশু তাবাসসুমকে

আপলোড টাইম : ০৬:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

আগুনে দগ্ধ শিশু তাবাসসুম (৩৮ দিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মত্যু হয়। নিহত তাবাসসুম চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ নম্বর আড়িয়া গ্রামের আব্দুস সালাম ও ঝর্ণা খাতুন দম্পতির তৃতীয় কন্যা। গত ১৪ মার্চ শুক্রবার সকালে সরকারি আবাসনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বিছানার মশারি ও কাঁথায় আগুন লাগে। এতে ঘুমন্ত তাবাসসুম গুরুতর দগ্ধ হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একদিন চিকিৎসার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। টানা ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সে মারা যায়।
মানবতার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবীব বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আমরা তাবাসসুমের পাশে ছিলাম। তার চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানানো হলে দেশজুড়ে সাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। ২৩ মার্চ রাতেও তার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, তাবাসসুম সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। তার নিষ্পাপ মুখ এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।’ এদিকে, গতকাল রাতেই তাবাসসুমের লাশ বাড়িতে পৌঁছালে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।