ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ছেলের ছুরিকাঘাতে নিহত দোদুলের দাফন সম্পন্ন, মামলা

ঘাতক ছেলেকে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা দোদুল হোসেন রিণ্টু নিহতের ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার গ্রেপ্তার কেএএম রিফাতকে (১৭) আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে, গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে নিহত দোদুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সদর থানার পুলিশ। পরে মাগরিব নামাজের পর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

থানা সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে নিহত দোদুল হোসেন রিণ্টুর মেয়ে জারিন ইয়াসমিন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় একমাত্র আসামি বাদীর ভাই কেএএম রিফাত। পুলিশ গতকালই রিফাতকে আদালতে প্রেরণ করে। চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল দ্বিতীয় আদালতের বিচারক রিপন হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় সে। পরে বিজ্ঞ বিচারক রিফাতকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেনে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘাতক ছেলেকে নিজ বাড়ি থেকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। রোববার সকাল ৮টার দিকে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় রিফাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদদেশ দেন।’

উল্লেখ্য, মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাবা দোদুল হোসেনকে (৫৩) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে হাফেজ কেএএম রিফাত (১৭)। গত শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তারাবির নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে পিতাকে ছুরিকাঘাত করে সে। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যসহ ও স্থানীয়রা জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নেয়ার কিছু সময়ের মধ্যে দোদুল হোসেনের মৃত্যু হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় ছেলের ছুরিকাঘাতে নিহত দোদুলের দাফন সম্পন্ন, মামলা

ঘাতক ছেলেকে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ

আপলোড টাইম : ০৮:৩১:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় পুত্রের ছুরিকাঘাতে পিতা দোদুল হোসেন রিণ্টু নিহতের ঘটনায় ঘাতক ছেলেকে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার গ্রেপ্তার কেএএম রিফাতকে (১৭) আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে, গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে নিহত দোদুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সদর থানার পুলিশ। পরে মাগরিব নামাজের পর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

থানা সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে নিহত দোদুল হোসেন রিণ্টুর মেয়ে জারিন ইয়াসমিন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় একমাত্র আসামি বাদীর ভাই কেএএম রিফাত। পুলিশ গতকালই রিফাতকে আদালতে প্রেরণ করে। চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল দ্বিতীয় আদালতের বিচারক রিপন হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় সে। পরে বিজ্ঞ বিচারক রিফাতকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেনে।

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘাতক ছেলেকে নিজ বাড়ি থেকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। রোববার সকাল ৮টার দিকে নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় রিফাতকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে যশোর শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদদেশ দেন।’

উল্লেখ্য, মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাবা দোদুল হোসেনকে (৫৩) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারই মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে হাফেজ কেএএম রিফাত (১৭)। গত শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তারাবির নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে পিতাকে ছুরিকাঘাত করে সে। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যসহ ও স্থানীয়রা জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নেয়ার কিছু সময়ের মধ্যে দোদুল হোসেনের মৃত্যু হয়।