ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
বিক্রেতারা সন্তুষ্ট, ক্রেতাদের বাজেটে টান

দেশি পোশাকের চাহিদায় মুখর ঝিনাইদহের ঈদ বাজার

দামের কারণে বিদেশি পোশাক এড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা; ব্যস্ত দর্জিরা

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়। বাহারি পোশাক ও প্রসাধনীর দোকান হয়ে উঠেছে জমজমাট। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জির দোকানগুলোতেও। পরিবার-পরিজনের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বড় বড় মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সায়াদাতিয়া কমপ্লেক্স, মুন্সি মার্কেট, পোস্ট অফিস মোড়ের বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বিকেলের পর ক্রেতাদের সংখ্যা আরও বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কেনাকাটায় স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। সমবায় সুপার মার্কেট, মুন্সি মার্কেট, জিন্না সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

এস স্টাইলের মালিক ওবাইদুল জানান, আসরের নামাজের পর ইফতার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। ইফতারের পর পুরোদমে শুরু হয় বেচাকেনা। তবে মানুষ দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাজেট সংকটে বড় দোকান এড়িয়ে তুলনামূলক সাশ্রয়ী পিপীলিকা মার্কেট, কৃষি কলেজ মার্কেট ও জেলা পরিষদ মার্কেটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়া, এবার বিদেশি পোশাকে মানুষের আগ্রহ কম। বেশিরভাগ ক্রেতাই দেশি পোশাক পছন্দ করছেন।

শুধু পোশাক নয়, প্রসাধনী, অলংকার, জুতা-স্যান্ডেল ও দর্জির দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। মসলা ও মুদিপণ্যের দোকানেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা শহরের পাশাপাশি কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকূপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলাগুলোতেও ঈদের বাজার সরগরম। প্রান্তিক গ্রামের মানুষও সাধ্যের মধ্যে পোশাক, অলংকার ও সাজসজ্জার উপকরণ কিনতে বাজারমুখী হয়েছেন।

ডাকবাংলা, খালিশপুর, হাটগোপালপুর, বারোবাজার, নারিকেলবাড়িয়া, গাড়াগঞ্জ, ভাটই, হাট ফাজিলপুরসহ জেলার বড় বাজারগুলোর মার্কেটেও বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। শেষ সময়ে দর্জিরা পোশাক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

উপশহরপাড়ার গৃহবধূ বেবি খাতুন বলেন, ‘এবার ভারতীয় বা অন্য দেশের পোশাক খুব একটা চোখে পড়ছে না। দেশি কাপড় বেশি, তাই আমরা খুশি। তবুও দামের কারণে বাজেটে কিছুটা টান পড়ছে।’ ক্রেতা হাসানুজ্জামান মিথুন জানান, ‘দাম সহনীয়। বিদেশি পোশাকের দাম চড়া হলেও দেশি পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে।’ মুন্সি মার্কেটের ব্যবসায়ী আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘তৈরি পোশাকের বেচাকেনা বেশি। সিট কাপড় ও থ্রি-পিসের চাহিদা রোজার শেষ দিকে কমে যায়, কারণ তখন দর্জিরা নতুন অর্ডার নেয় না।’

জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে বেচাকেনা চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

বিক্রেতারা সন্তুষ্ট, ক্রেতাদের বাজেটে টান

দেশি পোশাকের চাহিদায় মুখর ঝিনাইদহের ঈদ বাজার

দামের কারণে বিদেশি পোশাক এড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা; ব্যস্ত দর্জিরা

আপলোড টাইম : ১০:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়। বাহারি পোশাক ও প্রসাধনীর দোকান হয়ে উঠেছে জমজমাট। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জির দোকানগুলোতেও। পরিবার-পরিজনের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বড় বড় মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সায়াদাতিয়া কমপ্লেক্স, মুন্সি মার্কেট, পোস্ট অফিস মোড়ের বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বিকেলের পর ক্রেতাদের সংখ্যা আরও বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কেনাকাটায় স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। সমবায় সুপার মার্কেট, মুন্সি মার্কেট, জিন্না সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

এস স্টাইলের মালিক ওবাইদুল জানান, আসরের নামাজের পর ইফতার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তারা। ইফতারের পর পুরোদমে শুরু হয় বেচাকেনা। তবে মানুষ দেখছেন বেশি, কিনছেন কম। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাজেট সংকটে বড় দোকান এড়িয়ে তুলনামূলক সাশ্রয়ী পিপীলিকা মার্কেট, কৃষি কলেজ মার্কেট ও জেলা পরিষদ মার্কেটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়া, এবার বিদেশি পোশাকে মানুষের আগ্রহ কম। বেশিরভাগ ক্রেতাই দেশি পোশাক পছন্দ করছেন।

শুধু পোশাক নয়, প্রসাধনী, অলংকার, জুতা-স্যান্ডেল ও দর্জির দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। মসলা ও মুদিপণ্যের দোকানেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। জেলা শহরের পাশাপাশি কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকূপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলাগুলোতেও ঈদের বাজার সরগরম। প্রান্তিক গ্রামের মানুষও সাধ্যের মধ্যে পোশাক, অলংকার ও সাজসজ্জার উপকরণ কিনতে বাজারমুখী হয়েছেন।

ডাকবাংলা, খালিশপুর, হাটগোপালপুর, বারোবাজার, নারিকেলবাড়িয়া, গাড়াগঞ্জ, ভাটই, হাট ফাজিলপুরসহ জেলার বড় বাজারগুলোর মার্কেটেও বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। শেষ সময়ে দর্জিরা পোশাক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

উপশহরপাড়ার গৃহবধূ বেবি খাতুন বলেন, ‘এবার ভারতীয় বা অন্য দেশের পোশাক খুব একটা চোখে পড়ছে না। দেশি কাপড় বেশি, তাই আমরা খুশি। তবুও দামের কারণে বাজেটে কিছুটা টান পড়ছে।’ ক্রেতা হাসানুজ্জামান মিথুন জানান, ‘দাম সহনীয়। বিদেশি পোশাকের দাম চড়া হলেও দেশি পোশাকের দাম নাগালের মধ্যে।’ মুন্সি মার্কেটের ব্যবসায়ী আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘তৈরি পোশাকের বেচাকেনা বেশি। সিট কাপড় ও থ্রি-পিসের চাহিদা রোজার শেষ দিকে কমে যায়, কারণ তখন দর্জিরা নতুন অর্ডার নেয় না।’

জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে বেচাকেনা চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’