ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

গাংনীতে পায়ের হাল্কা চাপেই ভেঙে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নির্মিত ওয়াশ ব্লক

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / ৯০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি মাঠপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লক পায়ের হালকা চাপেই ভেঙে পড়ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘পিওর লাইফ আর সিস্টেম’।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কাজ চলছে, যার ফলে নতুন নির্মিত ব্লকেই পায়ের ইশারা চাপেই ভেঙে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এই অবকাঠামো শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়ালের ঢালাই সঠিকভাবে করা হয়নি এবং সিমেন্টের মিশ্রণ অত্যন্ত দুর্বল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এই দুর্নীতি ঘটছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলেছে নতুন করে কাজ শুরু করবে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান কল্লোল বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নতুন করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, তদন্ত করে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা যাবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গাংনীতে পায়ের হাল্কা চাপেই ভেঙে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর নির্মিত ওয়াশ ব্লক

আপলোড টাইম : ১০:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি মাঠপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লক পায়ের হালকা চাপেই ভেঙে পড়ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘পিওর লাইফ আর সিস্টেম’।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কাজ চলছে, যার ফলে নতুন নির্মিত ব্লকেই পায়ের ইশারা চাপেই ভেঙে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এই অবকাঠামো শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়ালের ঢালাই সঠিকভাবে করা হয়নি এবং সিমেন্টের মিশ্রণ অত্যন্ত দুর্বল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এই দুর্নীতি ঘটছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলেছে নতুন করে কাজ শুরু করবে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান কল্লোল বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নতুন করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, তদন্ত করে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা যাবে না।