ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইদহে ইমামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:২৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে এবার আব্দুর রহিম নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ওই ইমামকে এলাকাবাসী আটক করে। আব্দুর রহিমের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত বুধবার দুপুরে শহরের আরাপপুর সোনালীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটি শহরের একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশুটিকে মসজিদের একটি ঘরে ডেকে নেয় আব্দুর রহিম। পরে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে আব্দুর রহিম তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি বাড়ি ফিরে তার পিতা-মাতার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি ও ভিকটিমের শিশু কর্তৃক বর্ণনার ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এলাকাবাসি সরবরাহ করেছে।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে কে বা কারা অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে নিয়ে যায়। জানা গেছে, আব্দুর রহিম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আরাপপুরের সোনালীপাড়া জামে মসজিদে তারাবি নামাজের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ধারণকৃত একটি ভিডিওতে শিশু নিপীড়ক আব্দুর রহিম ঘটনার দায় স্বীকার করতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি শিশুটির সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।’

আরাপপুর সোনালীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিডিওতে কি বলেছেন তা আমি জানি না। আপনাদের কাছে স্বীকারোক্তির ভিডিও থাকলে ভালো কথা।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ধরনের ঘটনা জানতে পারিনি। কোনো অভিযোগও পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে ইমামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১২:২৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহে এবার আব্দুর রহিম নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ওই ইমামকে এলাকাবাসী আটক করে। আব্দুর রহিমের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত বুধবার দুপুরে শহরের আরাপপুর সোনালীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুটি শহরের একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশুটিকে মসজিদের একটি ঘরে ডেকে নেয় আব্দুর রহিম। পরে শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে আব্দুর রহিম তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি বাড়ি ফিরে তার পিতা-মাতার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি ও ভিকটিমের শিশু কর্তৃক বর্ণনার ভিডিও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এলাকাবাসি সরবরাহ করেছে।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে কে বা কারা অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে নিয়ে যায়। জানা গেছে, আব্দুর রহিম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আরাপপুরের সোনালীপাড়া জামে মসজিদে তারাবি নামাজের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ধারণকৃত একটি ভিডিওতে শিশু নিপীড়ক আব্দুর রহিম ঘটনার দায় স্বীকার করতে দেখা গেছে। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি শিশুটির সঙ্গে অন্যায় করেছি। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।’

আরাপপুর সোনালীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিডিওতে কি বলেছেন তা আমি জানি না। আপনাদের কাছে স্বীকারোক্তির ভিডিও থাকলে ভালো কথা।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ধরনের ঘটনা জানতে পারিনি। কোনো অভিযোগও পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।