ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

আলমডাঙ্গায় ‘মিথ্যা অভিযোগের’ বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
  • আপলোড টাইম : ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

ইতালি যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে কালিদাসপুরের মিলন হোসেন (ড্রাইভার) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিলন হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি ট্রাকের ড্রাইভারি করে আসছি। কর্মসূত্রে সারা মাস বাড়ির বাইরে থেকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করতে হয়। আমার এলাকার বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ মাস আগে পানি পথে ইতালি যাবার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় পাড়ি জমায়। খাইরুল লিবিয়ায় যাওয়ার কয়েকমাস পর লিবিয়া মাফিয়া কুষ্টিয়া জেলা ইবি থানার পাটিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রফিজুল তার নিজ বাড়িতে আসে। পরে সে কালিদাসপুর গ্রামে খাইরুলের বাড়ির উদ্দেশ্যে আসে। তবে রফিজুল তার বাড়ি চিনতে না পারায় আমাকে সাথে নিয়ে খাইরুলের বাড়িতে যায়। এসময় খাইরুলের ভাই মিণ্টু আমার সামনে রফিজুলকে টাকা দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা দেওয়ার পরও খাইরুল ইতালি পাড়ি জমাতে পারেনি। দীর্ঘদিন লিবিয়ার বন্দিশালা থেকে খাইরুল গত মাসে নিজ এলাকা কালিদাসপুরে আসে। বাড়ি ফেরার পরই খাইরুল দাবি করে গ্রামবাসীকে জানায় আমি (মিলন)-কে ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। এ নিয়ে গত ৭ মার্চ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি সালিশ বৈঠকও হয়। সালিশে উপস্থিত ছিল স্থানীয় মন্ডল বজলুর রহমান, কারেন্ট বাবু, ইউপি সদস্য মহাবুল ইসলাম, মাসুদ, মিনারুল, লিলু, আলাউদ্দিন, আ. মালেক, আইনাল হকসহ আরও অনেকে। ওই মিটিংয়ে সকলে সিদ্ধান্ত নেয় রফিজুলকে খুঁজে আনতে হবে। খাইরুল আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমার সাথে খাইরুল বা তার ভাই মিণ্টু কোনো লেনদেন করেনি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় ‘মিথ্যা অভিযোগের’ বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

ইতালি যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে কালিদাসপুরের মিলন হোসেন (ড্রাইভার) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মিলন হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি ট্রাকের ড্রাইভারি করে আসছি। কর্মসূত্রে সারা মাস বাড়ির বাইরে থেকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করতে হয়। আমার এলাকার বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ মাস আগে পানি পথে ইতালি যাবার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় পাড়ি জমায়। খাইরুল লিবিয়ায় যাওয়ার কয়েকমাস পর লিবিয়া মাফিয়া কুষ্টিয়া জেলা ইবি থানার পাটিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রফিজুল তার নিজ বাড়িতে আসে। পরে সে কালিদাসপুর গ্রামে খাইরুলের বাড়ির উদ্দেশ্যে আসে। তবে রফিজুল তার বাড়ি চিনতে না পারায় আমাকে সাথে নিয়ে খাইরুলের বাড়িতে যায়। এসময় খাইরুলের ভাই মিণ্টু আমার সামনে রফিজুলকে টাকা দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা দেওয়ার পরও খাইরুল ইতালি পাড়ি জমাতে পারেনি। দীর্ঘদিন লিবিয়ার বন্দিশালা থেকে খাইরুল গত মাসে নিজ এলাকা কালিদাসপুরে আসে। বাড়ি ফেরার পরই খাইরুল দাবি করে গ্রামবাসীকে জানায় আমি (মিলন)-কে ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। এ নিয়ে গত ৭ মার্চ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একটি সালিশ বৈঠকও হয়। সালিশে উপস্থিত ছিল স্থানীয় মন্ডল বজলুর রহমান, কারেন্ট বাবু, ইউপি সদস্য মহাবুল ইসলাম, মাসুদ, মিনারুল, লিলু, আলাউদ্দিন, আ. মালেক, আইনাল হকসহ আরও অনেকে। ওই মিটিংয়ে সকলে সিদ্ধান্ত নেয় রফিজুলকে খুঁজে আনতে হবে। খাইরুল আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমার সাথে খাইরুল বা তার ভাই মিণ্টু কোনো লেনদেন করেনি।’