কেরু ডিস্টিলারির ডি.এস গোডাউনের মেট শহিদুল ইসলামের কাণ্ড
চালানের বেশি বাংলা মদ বের করতে গিয়ে ধরা!
- আপলোড টাইম : ১১:৩৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
- / ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারির ডি.এস গোডাউনের মেট শহিদুল ইসলাম চালানের বেশি কান্ট্রি লিকার (বাংলা মদ) বের করতে গিয়ে ধরা পড়ে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। গত ১৩ মার্চ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কেরু কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি অস্বীকার করেন। শহিদুল ইসলাম চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি চাকরি থেকে রিটায়ারড হন। পরে লোকবল কম থাকার কারণে তাকে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক ডিএস গোডাউনের মেট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে ১৩ মার্চ শহিদুল চট্টগ্রামের একটি পার্টির ডি.এস দেওয়ার সময় ৩০ ব্যারেলের স্থানে ১ ব্যারেল বেশি করে ৩১ ব্যারেল কান্ট্রি লিকার ডি.এস গোডাউন থেকে বের করেন। কেরু কর্তৃপক্ষ কান্ট্রি লিকার গেটের বাইরে বের করার আগেই তাকে আটকায়।
কিন্তু এ ঘটনার পর পাঁচ-ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। গুঞ্জন রয়েছে, কেরু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিনি নামাজে আছেন। নামাজ শেষ হলে কল দেওয়ার অনুরোধ করা হয়, তবে পরবর্তীতে শহিদুলের ফোনে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, ডি.এস গোডাউনের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় বাইরে ছিলাম। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
কেরু ডিস্টিলারি প্রশাসনের জিএম রাজিবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি পরে জানতে পারি। তবে সঠিক তথ্য পেতে এডমিনের সাথে কথা বলা উচিত।’ এ বিষয়ে প্রশাসনিক প্রধান নুরুল হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এডিএম স্যারের সাথে কথা বলুন।’
মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এডিএম ওমর আল ফারুক গালিব বলেন, ‘শহিদুলের চাকরি যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি। ১৩ তারিখের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, ‘ঘটনাটি শুনেছি এবং তার বেতন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, তদন্ত কমিটি গঠন হলে বিস্তারিত জানানো হবে।’