ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

জীবননগরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বিপ্লবের মৃত্যু

পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

জীবননগর অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ বিপ্লব নামে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার দাবি করছে, মৃত্যুর আগে বিপ্লব বলে গেছেন যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ভোররাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর বিল কাশারির মাঠের রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জীবননগর থানা পুলিশ বিপ্লবকে উদ্ধার করে। দুই দিন ধরে ঢাকা এ-ওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত বিপ্লব হোসেন (৩২) গয়েশপুর গ্রামের বুড়োর ছেলে।

নিহত বিপ্লবের স্ত্রী নাজেরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, যশোর থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে বিপ্লব তার সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় তিনি জানান, গয়েশপুর গ্রামের বাবলু, সুলতান, তরিকুলসহ কয়েকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় এবং মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তিনি আরও বলেন, বাবলুরা জানত যে বিপ্লব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

জীবননগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, ‘বিপ্লব ছোট থাকতে তার বাবা মারা যান। তারপর থেকে আমি তাকে মানুষ করেছি। সে আমার সন্তানের মতো ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকায় আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছিলাম। কিন্তু দুই দিন আগে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় গয়েশপুর রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে। বলা হচ্ছে, সে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়েছে। আমি এবং গ্রামের অনেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, বিপ্লবের রক্ত পড়ে আছে এক পাশে, আর গাছ রয়েছে অন্য পাশে। যদি এটি সড়ক দুর্ঘটনা হতো, তবে গাছের নিচে কোপের চিহ্ন কেন থাকবে? আমার মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আশা করি, পুলিশ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনবে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘বিপ্লব চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বিপ্লবের মৃত্যু

পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড

আপলোড টাইম : ০৯:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

জীবননগরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ বিপ্লব নামে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার দাবি করছে, মৃত্যুর আগে বিপ্লব বলে গেছেন যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ভোররাতে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর বিল কাশারির মাঠের রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জীবননগর থানা পুলিশ বিপ্লবকে উদ্ধার করে। দুই দিন ধরে ঢাকা এ-ওয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত বিপ্লব হোসেন (৩২) গয়েশপুর গ্রামের বুড়োর ছেলে।

নিহত বিপ্লবের স্ত্রী নাজেরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, যশোর থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে বিপ্লব তার সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় তিনি জানান, গয়েশপুর গ্রামের বাবলু, সুলতান, তরিকুলসহ কয়েকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় এবং মাথায় আঘাত করে। পরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তিনি আরও বলেন, বাবলুরা জানত যে বিপ্লব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

জীবননগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, ‘বিপ্লব ছোট থাকতে তার বাবা মারা যান। তারপর থেকে আমি তাকে মানুষ করেছি। সে আমার সন্তানের মতো ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকায় আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছিলাম। কিন্তু দুই দিন আগে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় গয়েশপুর রাস্তার পাশে থেকে উদ্ধার করে। বলা হচ্ছে, সে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়েছে। আমি এবং গ্রামের অনেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, বিপ্লবের রক্ত পড়ে আছে এক পাশে, আর গাছ রয়েছে অন্য পাশে। যদি এটি সড়ক দুর্ঘটনা হতো, তবে গাছের নিচে কোপের চিহ্ন কেন থাকবে? আমার মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি আশা করি, পুলিশ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনবে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘বিপ্লব চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’