ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে কমল তাপমাত্রা, স্বস্তি পেলেন রোজাদাররা

২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তাপদাহ কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন রোজাদারসহ সাধারণ মানুষ। গতকাল সোমবার বেলা ১টা ২৬ মিনিট থেকে ২টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮ মিলিমিটার। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানা গেছে, গত চার দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা রোজাদারদের জন্য বেশ কষ্টদায়ক ছিল। গত ১৩ মার্চ বেলা ৩টায় সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড হয় এ জেলা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬%। এরপরের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা গরমের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে গতকালের দেড় ঘণ্টার থেমে থেমে বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নেমে আসে ৩৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময়ে রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮.০ মিলিমিটার।
শহরের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হলে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পান। বিশেষ করে রোজাদারদের জন্য এটি ছিল এক ধরনের প্রশান্তির বার্তা। এসময় ব্যবসা পরিচালনায় তাদের কিছুটা বেগ পেতে হলেও এই বৃষ্টিকে তারা আনন্দে গ্রহণ করেন এবং বৃষ্টির পর স্বস্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
এদিকে, বৃষ্টির সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে পথচারী ও দোকানদারদের মধ্যে অনেকেই বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে খোলা স্থানে দাঁড়ান। রেলওয়ে স্টেশনের চা ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, ‘গত কয়েকদিনের গরমের তুলনায় আজকের আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় মনে হচ্ছে। হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। রোজা রেখে সারাদিন দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করাও কষ্টস্বাধ্য হয়ে যাচ্ছিলো। দুপুরের হঠাৎ বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটায় কমে যাওয়া বেশ স্বস্থি পেয়েছি।’
পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা জুয়ায়েদ হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পানির তৃষ্ণা বেশি অনুভূত হচ্ছিল। আজকের বৃষ্টিতে অনেকটা স্বস্তি পেলাম।’ এদিকে, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে এ জেলার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিতে কমল তাপমাত্রা, স্বস্তি পেলেন রোজাদাররা

২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তাপদাহ কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন রোজাদারসহ সাধারণ মানুষ। গতকাল সোমবার বেলা ১টা ২৬ মিনিট থেকে ২টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮ মিলিমিটার। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানা গেছে, গত চার দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা রোজাদারদের জন্য বেশ কষ্টদায়ক ছিল। গত ১৩ মার্চ বেলা ৩টায় সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড হয় এ জেলা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬%। এরপরের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা গরমের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। তবে গতকালের দেড় ঘণ্টার থেমে থেমে বৃষ্টিতে তাপমাত্রা নেমে আসে ৩৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময়ে রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮.০ মিলিমিটার।
শহরের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হলে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পান। বিশেষ করে রোজাদারদের জন্য এটি ছিল এক ধরনের প্রশান্তির বার্তা। এসময় ব্যবসা পরিচালনায় তাদের কিছুটা বেগ পেতে হলেও এই বৃষ্টিকে তারা আনন্দে গ্রহণ করেন এবং বৃষ্টির পর স্বস্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করেন।
এদিকে, বৃষ্টির সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে পথচারী ও দোকানদারদের মধ্যে অনেকেই বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে খোলা স্থানে দাঁড়ান। রেলওয়ে স্টেশনের চা ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, ‘গত কয়েকদিনের গরমের তুলনায় আজকের আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় মনে হচ্ছে। হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। রোজা রেখে সারাদিন দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করাও কষ্টস্বাধ্য হয়ে যাচ্ছিলো। দুপুরের হঠাৎ বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা অনেকটায় কমে যাওয়া বেশ স্বস্থি পেয়েছি।’
পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা জুয়ায়েদ হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। পানির তৃষ্ণা বেশি অনুভূত হচ্ছিল। আজকের বৃষ্টিতে অনেকটা স্বস্তি পেলাম।’ এদিকে, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে এ জেলার তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।’