ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

দর্শনায় নিরাপত্তা চেয়ে রাকিবের সংবাদ সম্মেলন

দর্শনা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১২:০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনায় নিজের এবং পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাকিবুল হাসান রাকিব। গতকাল রোববার তিনি এই সম্মেলন করেন। রাকিব দর্শনা পৌর এলাকার আজমপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুল হাসান বলেন, মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মান্নান খান ও তার ভাই করিম খান কালুর কারণে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ তাকে ৫ বছর ১৮ দিন জেল খাটতে হয়। জামিনে মুক্তির পর, কিছুদিন পর দর্শনা মিতালী আয়রন হাউজের ফারুক হোসেন শান্তর দোকানে বসে করিম খান কালু তাকে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে যুক্ত হতে বলে, তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি এ কাজ করবেন না। এরপর তিনি জানতে পারেন, ফারুকসহ সাতজন একটি টিম তৈরি করে স্বর্ণ চোরাচালান চালাচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, এর মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর দামুড়ণ্ডদা এলাকার কোন এক গ্রাম থেকে মান্নান খানের ৩-৪ কেজি স্বর্ণ ছিনতাই হয়ে যায়। একদিন করিম খান কালু তাকে বলেন, ‘এই কাজ তুই করেছিস, এর ফল ভালো হবে না।’ এরপর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তিনি প্রাণনাশের ভয়ে ঢাকা চলে যান। কিছুদিন পর বাড়ি ফিরলে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় করিম খান কালু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এছাড়া, তার ছোট ভাই সজীবকে গাড়ির চাবি দিয়ে হাইকোর্টে পাঠানোর পর, করিম খান কালু তার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরে তার মেজো ভাই রায়হান মিয়া আর্মিতে চাকরি করতে থাকলে, করিম খান কালু তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। রায়হান মিয়া মিশন থেকে বাড়িতে ফিরে এসব ঘটনা জানিয়ে দর্শনা থানায় মান্নান খান, করিম খান কালু ও মনিকা নামে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। তবে এখনও পুলিশ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৪ আগস্ট দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালিয়ে মান্নান খান ও তার ভাই করিম খান কালু বর্তমানে টাকার দাপটে দর্শনায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার বর্তমানে প্রাণনাশের ভয়ে রয়েছেন। এ সময় তিনি প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে সঠিক বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান মনিরুজ্জামান সুমন, নজরুল ইসলাম, এবং দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনায় নিরাপত্তা চেয়ে রাকিবের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১২:০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

দর্শনায় নিজের এবং পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাকিবুল হাসান রাকিব। গতকাল রোববার তিনি এই সম্মেলন করেন। রাকিব দর্শনা পৌর এলাকার আজমপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুল হাসান বলেন, মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মান্নান খান ও তার ভাই করিম খান কালুর কারণে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ তাকে ৫ বছর ১৮ দিন জেল খাটতে হয়। জামিনে মুক্তির পর, কিছুদিন পর দর্শনা মিতালী আয়রন হাউজের ফারুক হোসেন শান্তর দোকানে বসে করিম খান কালু তাকে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে যুক্ত হতে বলে, তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি এ কাজ করবেন না। এরপর তিনি জানতে পারেন, ফারুকসহ সাতজন একটি টিম তৈরি করে স্বর্ণ চোরাচালান চালাচ্ছিল।

তিনি আরও জানান, এর মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর দামুড়ণ্ডদা এলাকার কোন এক গ্রাম থেকে মান্নান খানের ৩-৪ কেজি স্বর্ণ ছিনতাই হয়ে যায়। একদিন করিম খান কালু তাকে বলেন, ‘এই কাজ তুই করেছিস, এর ফল ভালো হবে না।’ এরপর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তিনি প্রাণনাশের ভয়ে ঢাকা চলে যান। কিছুদিন পর বাড়ি ফিরলে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় করিম খান কালু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এছাড়া, তার ছোট ভাই সজীবকে গাড়ির চাবি দিয়ে হাইকোর্টে পাঠানোর পর, করিম খান কালু তার মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরে তার মেজো ভাই রায়হান মিয়া আর্মিতে চাকরি করতে থাকলে, করিম খান কালু তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। রায়হান মিয়া মিশন থেকে বাড়িতে ফিরে এসব ঘটনা জানিয়ে দর্শনা থানায় মান্নান খান, করিম খান কালু ও মনিকা নামে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। তবে এখনও পুলিশ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

রাকিবুল হাসান বলেন, গত ৪ আগস্ট দর্শনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালিয়ে মান্নান খান ও তার ভাই করিম খান কালু বর্তমানে টাকার দাপটে দর্শনায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার বর্তমানে প্রাণনাশের ভয়ে রয়েছেন। এ সময় তিনি প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে সঠিক বিচার ও নিরাপত্তার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান মনিরুজ্জামান সুমন, নজরুল ইসলাম, এবং দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল।