চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শরীফুজ্জামান শরীফ
আসুন ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাই
- আপলোড টাইম : ১০:০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষের আগমন ঘটে। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে গণতন্ত্রকে পরধীনতার শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা কথা বলার স্বাধীনতা থেকেও বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের দাবি আদায়ের লড়াইয়ে আমাদেরকে নির্যাতন, হামলা, মামলা, গুমের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু আমরা আন্দোলন থামিয়ে রাখিনি। কোনো শক্তি আমাদেরকে দমাতে পারেনি। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১৬ বছরের সেই পতিত স্বৈরাচারের পতন হয়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই ইফতার আয়োজন থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা হলো- স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে পতনের জন্য যে ১৬ বছরের আন্দোলন ও সংগ্রাম চলেছে, তাতে বহু নির্যাতন, জুলুম ও সংঘর্ষের মধ্যদিয়েও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আমরা বিগত ১৬ বছর ধরে ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই অধিকারের জন্য লড়াই করেছি। এখন সময় এসেছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার। যতদিন পর্যন্ত দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন নিশ্চিত না হয়, ততদিন ছাত্র সমাজ, বিএনপির অঙ্গসংগঠন এবং ধানের শীষের প্রতিটি ভোটার ও সমর্থককে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে।’
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর সুযোগ না থাকার পরেও আমরা গণতন্ত্র চর্চায় রাজপথে থেকেছি। এখন সময় এসেছে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পূর্ণাঙ্গরূপে সক্রিয় থাকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাওয়ার।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গসংগঠনের সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এই লড়াই কেবল একটি নির্বাচনকে ঘিরে নয়, এটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আসুন, ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাই।’
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চান যে, আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। এই নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে যেই মনোনয়ন পাক না কেন, আমরা সকলে মিলে চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে উপহার দেব ইনশাআল্লাহ। মনে রাখতে হবে, সবার আগে দেশ এবং দল। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বার্থে, আদর্শ ও যোগ্য নেতা তারেক রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আনতে হবে।’
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য অ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান বুলা, খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, সফিকুল ইসলাম পিটু, খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হবি, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রউফুন্নাহার রিনা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি শরিফুল আলম বিলাস, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এম এ তালহা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান মুক্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন জেলা ওলামা দলের সদস্যসচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু সুফিয়ান।
চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মালিক সুজনের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাবেক সহসভাপতি আরশেদ আলী, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি শেফালী বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন পারভীন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্যসচিব ইমরান মহলদার রিণ্টু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এম এ হাসান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানাসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।