২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় সরকার
- আপলোড টাইম : ০৮:৩০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / ৩৯ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বারের মতো দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ২৬ মার্চ চীন যাচ্ছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। চার দিনের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন-প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন আনুষ্ঠানিক সফর হবে দুই বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যে ৫০ বছরের দীর্ঘ সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের জন্য এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিন সফরের বিস্তারিত সূচি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এই সফরের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে ২৮ মার্চ অধ্যাপক ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। সেখানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। তিনি বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে একটা বৈশ্বিক ম্যানুফেকচারিং হাব (উত্পাদন কেন্দ্র) হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সেলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফরে চীনের কারখানাসমূহকে কীভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায়, সে বিষয়টি আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।
প্রফেসর ইউনূসের সফরসূচির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘২৬ মার্চ চীনে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর ২৭ তারিখে তিনি চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। বিএফএকে বলা হয়-প্রাচ্যের দাভোস। এই সম্মেলনে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা যোগ দেবেন। আমরা আশা করছি, বিএফএ সম্মেলনের সাইডলাইনে চীনসহ অন্যান্য দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টার।’
সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করবেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে অনারারি ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে। এছাড়া তিনি চীনের হাইটেক পার্ক পরিদর্শন করবেন বলেও জানান প্রেস সচিব। শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, এই সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে মূল ফোকাস থাকবে চীনের কোম্পানিগুলো যেন তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করে। তিনি বলেন, গত বছর জাতিসংঘ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীনের দুটি কোম্পানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন এবং সোলার এনার্জিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।