ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান

সরিয়ে দেয়া হলো ফুটপাতের ৩০টির বেশি দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার শহরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যক এলাকা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্বর। এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হওয়ায় এখানে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটে। তবে ফুটপাতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং অবৈধ পার্কিং সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজট নিরসন এবং সাধারণ মানুষের চলাচলকে নির্বিঘ্ন করতে শহিদ হাসান চত্বরে অভিযান চালিয়েছে সদর ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়, যেখানে ফুটপাত দখল করে থাকা ৩০টির বেশি ভ্রাম্যমাণ দোকান সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযানের সময় ফুটপাত ছাড়াও সড়কে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আমিরুল ইসলাম। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় টিম নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান।

অভিযানের সময় পথচারীদের মধ্যে সানাউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রশাসনের এই উদ্যোগে সাময়িকভাবে যানজট কমলেও এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হবে কি না বলতে পারছি না। ভবিষ্যতে মনিটরিংয়ের ওপর এর ফল নির্ভর করবে।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে শহরের পরিবেশ শৃঙ্খলিত হবে।’

অভিযানের পর স্বস্তি প্রকাশ করে অপর এক পথচারীরা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ফুটপাত যেন মানুষের চলাচলের জন্য নয়, রাস্তার ওপর ব্যবসার জন্য রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সময় রাস্তা দখল থাকার কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফুটপাত না পেয়ে সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হতে হয়। যা দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি করে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের অভিযানে ফুটপাত পরিষ্কার হওয়ায় হাঁটাচলার সুবিধা হয়েছে।’

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো জরিমানা ছাড়াই প্রথমবার সতর্ক করে ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যদি তারা আবার ফুটপাতে অবস্থান নিয়ে ব্যবসা শুরু করে এবং শহরের যানজট সৃষ্টি করে, তাহলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শহরের যানজট কমাতে ও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আমাদের এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান

সরিয়ে দেয়া হলো ফুটপাতের ৩০টির বেশি দোকান

আপলোড টাইম : ১১:০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার শহরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যক এলাকা বড় বাজার শহিদ হাসান চত্বর। এলাকাটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হওয়ায় এখানে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটে। তবে ফুটপাতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং অবৈধ পার্কিং সড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজট নিরসন এবং সাধারণ মানুষের চলাচলকে নির্বিঘ্ন করতে শহিদ হাসান চত্বরে অভিযান চালিয়েছে সদর ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়, যেখানে ফুটপাত দখল করে থাকা ৩০টির বেশি ভ্রাম্যমাণ দোকান সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযানের সময় ফুটপাত ছাড়াও সড়কে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আমিরুল ইসলাম। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় টিম নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান।

অভিযানের সময় পথচারীদের মধ্যে সানাউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘প্রশাসনের এই উদ্যোগে সাময়িকভাবে যানজট কমলেও এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হবে কি না বলতে পারছি না। ভবিষ্যতে মনিটরিংয়ের ওপর এর ফল নির্ভর করবে।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে শহরের পরিবেশ শৃঙ্খলিত হবে।’

অভিযানের পর স্বস্তি প্রকাশ করে অপর এক পথচারীরা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ফুটপাত যেন মানুষের চলাচলের জন্য নয়, রাস্তার ওপর ব্যবসার জন্য রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সময় রাস্তা দখল থাকার কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফুটপাত না পেয়ে সড়কের ওপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হতে হয়। যা দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি করে।’ তিনি বলেন, ‘আজকের অভিযানে ফুটপাত পরিষ্কার হওয়ায় হাঁটাচলার সুবিধা হয়েছে।’

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো জরিমানা ছাড়াই প্রথমবার সতর্ক করে ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যদি তারা আবার ফুটপাতে অবস্থান নিয়ে ব্যবসা শুরু করে এবং শহরের যানজট সৃষ্টি করে, তাহলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শহরের যানজট কমাতে ও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আমাদের এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করা হবে।’