ডাঙ্গায় ডিম পাড়তে আসা গড়াই নদীর কুমির ধরে গ্রামবাসীর উল্লাস!
উদ্ধার করে নিয়ে গেলেন বন বিভাগের কর্তারা
- আপলোড টাইম : ১০:৫৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে গড়াই নদীর একটি বিশালাকৃতির কুমির ধরে গ্রামবাসীর উল্লাস করতে দেখা যায়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনা বন বিভাগের কর্মীরা কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কুমিরটি ডিম পাড়ার জন্য নদী থেকে ডাঙ্গায় উঠে আসলে গ্রামবাসী ধরে নির্যাতন করে।
খুলুমবাড়িয়া গ্রামের আসালত মোল্লা জানান, গড়াই নদীতে বেশ কিছুদিন ধরে ৪টি কুমির ভাসতে দেখা যায়। গত বুধবার রাতে শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের একটি গোয়াল ঘরের পাশ থেকে ৮ থেকে ১০ ফুট লম্বার বিশালাকৃতির কুমিরটি ধরে ফেলে গ্রামবাসী। এ খবর জানতে পেরে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল শৈলকুপার সন্তান আসাদুজ্জামান কুমিরটির জীবন রক্ষা ও উদ্ধারের জন্য স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। পরে শৈলকুপা থানা-পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা নিয়ে যান।
এদিকে, কুমির ধরার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো জনতা কুমিরটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায়। গোবিন্দপুর গ্রামের আশিকুর রহমান জানান, তারাবির নামাজ শেষে একটি দোকানে বসেছিলেন। এমন সময় গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে তারা নিকটস্থ গোয়াল ঘরের পাশে গিয়ে দেখতে পান বিশাল আকৃতির একটি কুমির, যা নদী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। পরে গ্রামবাসী জাল দিয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে কুমিরের মাথায় পানি ঢাললে শান্ত হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে রাতের নীরবতা ভেঙে গোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কুমিরটি দেখতে হাজার হাজার জনতা উপস্থিত হয়।
শৈলকুপা বন কর্মকর্তা মখলেচুর রহমান জানান, খুলুমবাড়ির এলাকার গড়াই নদী এলাকা থেকে বিশাল আকৃতির একটি কুমির এলাকাবাসী আটক করে। সেটি খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হস্তান্তর করা হয়। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া এলাকা থেকে একটি কুমির উদ্ধার করে জীবিত অবস্থায় থানায় নিয়ে আসা হয়। খুলনা থেকে বন কর্মকর্তারা আসলে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে, গড়াই নদীর কুমির খুলনা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। কারণ গড়াই নদীতে তার বাচ্চা ও সঙ্গীরা রয়েছে। কুমিরগুলো গড়াই নদীর সম্পদ এবং এখানেই অবমুক্ত করা উচিত ছিল বলে ঝিনাইদহ জেলা বন কর্মকর্তা খোন্দকার গিয়াস উদ্দীন মনে করেন।