ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

শৈলকুপায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীকে খুনের অভিযোগ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবী রেশমা খাতুনকে (৩৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে। নিহত রেশমা একই গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী। প্রতিবেশী চঞ্চল খান জানান, রেশমা খাতুনের স্বামী আব্দুল হামিদের ছোট ভাই নাহিদ হোসেন দীর্ঘদিনের মানসিক ভারসাম্যহীন। গত রোববার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির উঠানে রেশমা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে। তার হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমার মৃত্যু হয়।

গ্রামবাসীর ধারণা, মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নাহিদ তার ভাবিকে আঘাত করতে পারে। রেশমা খাতুনের চাচাতো দেবর কামরুজ্জামান বলেন,  রেশমা খাতুনের দেবর নাহিদ দীর্ঘদিনের মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। মাঝে মধ্যে তার বুদ্ধিমত্তা একদমই কাজ করে না। গত রোববার সন্ধ্যার একটু আগে রেশমাকে যখন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তখন নাহিদ বাড়িতে অবস্থান করছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে আঘাত করা হতে পারে। তিনি আরও জানান, রেশমা খাতুন তিন সন্তানের জননী। তার কোলে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ রয়েছে দেবরের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভাবী রেশমার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতিবেশীরা বলছেন, দেবর নাহিদ মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। নাহিদ নিখোঁজ থাকায় এ ঘটনার আসল রহস্য বলা যাচ্ছে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

শৈলকুপায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীকে খুনের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবী রেশমা খাতুনকে (৩৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে। নিহত রেশমা একই গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী। প্রতিবেশী চঞ্চল খান জানান, রেশমা খাতুনের স্বামী আব্দুল হামিদের ছোট ভাই নাহিদ হোসেন দীর্ঘদিনের মানসিক ভারসাম্যহীন। গত রোববার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা বাড়ির উঠানে রেশমা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে। তার হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমার মৃত্যু হয়।

গ্রামবাসীর ধারণা, মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নাহিদ তার ভাবিকে আঘাত করতে পারে। রেশমা খাতুনের চাচাতো দেবর কামরুজ্জামান বলেন,  রেশমা খাতুনের দেবর নাহিদ দীর্ঘদিনের মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। মাঝে মধ্যে তার বুদ্ধিমত্তা একদমই কাজ করে না। গত রোববার সন্ধ্যার একটু আগে রেশমাকে যখন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তখন নাহিদ বাড়িতে অবস্থান করছিল। শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে আঘাত করা হতে পারে। তিনি আরও জানান, রেশমা খাতুন তিন সন্তানের জননী। তার কোলে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ রয়েছে দেবরের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভাবী রেশমার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতিবেশীরা বলছেন, দেবর নাহিদ মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। নাহিদ নিখোঁজ থাকায় এ ঘটনার আসল রহস্য বলা যাচ্ছে না।