ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত

ঝিনাইদহ অফিস
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

‘কিডনি সুরক্ষায় অঙ্কুরেই শনাক্ত করুন’ এ স্লোগানে সামনে রেখে ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ‘ক্যাম্পস কিডনি ও ডায়ালাইসিস সেন্টার’র পক্ষ থেকে একটি থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. তৌফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও ল্যাব ইনচার্জ হাসানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের গুরুত্ব, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিশার্ট বিতরণ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে। বর্তমানে ৮৫ কোটির অধিক লোক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে ৭৫ কোটি রোগী জানে না যে মরণঘাতী কিডনি রোগ নীরবে তাদের কিডনি নষ্ট করে চলেছে। প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ লোক আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয় যার ৮৫ ভাগই আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে। উন্নত দেশে কিডনি বিকলের চিকিৎসা করতে গিয়ে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হার শতকরা ১৬-১৮ ভাগ। কিডনি রোগের শেষ পরিণতি কিডনি বিকল। একবার কিডনি বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় কিডনি সংযোজন অথবা ডায়ালাইসিস। কিন্তু এই চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে, শতকরা ১০ জন কিডনি বিকল রোগী তা বহন করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রায় ৯০ ভাগ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে। ঝিনাইদহ ক্যাম্পসের ¯েøাগান ‘‘কিডনি রোগ জীবননাশা-প্রতিরোধই বাঁচার আশা’’ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। অর্থাৎ কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করে চিকিৎসার মাধ্যমে মরণব্যাধি কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা। কিডনি রোগের সুলভে চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ক্যাম্পস ইতিমধ্যে ঢাকার পাশাপাশি মাদারীপুর, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, সখিপুর, নবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও ঘাটাইল শহরে কিডনি সেবা কেন্দ্র ও ডায়ালাইসিস কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত

আপলোড টাইম : ০৮:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

‘কিডনি সুরক্ষায় অঙ্কুরেই শনাক্ত করুন’ এ স্লোগানে সামনে রেখে ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ‘ক্যাম্পস কিডনি ও ডায়ালাইসিস সেন্টার’র পক্ষ থেকে একটি থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. তৌফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও ল্যাব ইনচার্জ হাসানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের গুরুত্ব, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টিশার্ট বিতরণ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে। বর্তমানে ৮৫ কোটির অধিক লোক দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে ৭৫ কোটি রোগী জানে না যে মরণঘাতী কিডনি রোগ নীরবে তাদের কিডনি নষ্ট করে চলেছে। প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ লোক আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয় যার ৮৫ ভাগই আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে। উন্নত দেশে কিডনি বিকলের চিকিৎসা করতে গিয়ে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হার শতকরা ১৬-১৮ ভাগ। কিডনি রোগের শেষ পরিণতি কিডনি বিকল। একবার কিডনি বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় কিডনি সংযোজন অথবা ডায়ালাইসিস। কিন্তু এই চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে, শতকরা ১০ জন কিডনি বিকল রোগী তা বহন করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রায় ৯০ ভাগ রোগী বিনা চিকিৎসায় অথবা আংশিক চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে। ঝিনাইদহ ক্যাম্পসের ¯েøাগান ‘‘কিডনি রোগ জীবননাশা-প্রতিরোধই বাঁচার আশা’’ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। অর্থাৎ কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করে চিকিৎসার মাধ্যমে মরণব্যাধি কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা। কিডনি রোগের সুলভে চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ক্যাম্পস ইতিমধ্যে ঢাকার পাশাপাশি মাদারীপুর, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, সখিপুর, নবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও ঘাটাইল শহরে কিডনি সেবা কেন্দ্র ও ডায়ালাইসিস কেন্দ্র স্থাপন করেছে।