ঝিনাইদহে ইটভাটা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- আপলোড টাইম : ০৯:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
- / ২৫ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিলে সারা জেলায় কর্মরত ২০ হাজার ইটভাটা শ্রমিক ও ভাটা মালিকরা অংশগ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা, এবং পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। স্মারকলিপি প্রদান শেষে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস, সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা ঈদুল ফিতর পর্যন্ত জেলার সকল ইটভাটা চালু রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, জিগজ্যাগ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করা, জিগজ্যাগ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে হয়রানি বন্ধ করা, ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও মাটি কাটতে জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। জেলার অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ ইটভাটায় শ্রম দিয়ে তাদের সংসার চালায়। সরকার চাইলেই আকস্মিকভাবে এসব ইটভাটা বন্ধ করে দিতে পারে না।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সব অবৈধ ইটভাটা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিদ মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও আসাদ উদ্দিন।