ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এরইমধ্যে সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়কের বক্তব্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।

এদিকে, এ মাসেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতদিন ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কথা বললেও গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যথায় নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা ‘রাইট টু ফ্রিডম’ এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম এবং নির্বাহী পরিচালক সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন দানিলোভিচ গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন।

এর আগে গত বুধবার রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জনগণের নিরাপত্তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি এবং এ বছর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। আমরা যদি এক মাসের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে নির্বাচনের জন্য তৎক্ষণাৎ প্রস্তুত হবো। কিন্তু যদি বেশি সময় লাগে, তাহলে নির্বাচন পেছানো উচিত।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুতই সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের যে টাইমণ্ডটেবিল তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত টাইমণ্ডটেবিল দেখিনি। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে (নির্বাচন) আরো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা জানানো হবে। ফলে ঐকমত্য কমিশনের কাজের কারণে নির্বাচনি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার কারণ নেই। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য জাহেদ উর রহমান মনে করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং নতুন দল এনসিপির আহ্বায়কের কথার মধ্যে একটা যোগ সূত্র আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কনটেক্সটটা দেখি তাহলে তা ঘোলাটে। প্রধান উপদেষ্টা এর আগে বলেছেন, যদি ১০টা বিষয়ে সংস্কারে ঐকমত্য হয় তাহলে ১০টা করব। যদি একটার ব্যাপারেও ঐকমত্য না হয় তাহলে কোনো সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন দিয়ে দেব। কিন্তু এখন তার ভাষার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলছেন, সংস্কার যত দ্রুত শেষ করা যায় তারপর নির্বাচন করব। এখন সমাজে ও রাষ্ট্রে আবার এই ধরনের বয়ান তৈরি হচ্ছে। তারা বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। কেউ বলছে, ভারত ড. ইউনূসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তাই তিন-চার বছরের মধ্যে নির্বাচন ঠিক হবে না। আর নতুন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই সবগুলো কথার মধ্যে একটা সংযোগ আছে।’

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘এখন এই যে মব জাস্টিস হচ্ছে, গুলশানে মব বাড়ি তল্লাশি করছে পুলিশ থামাচ্ছে না, ওড়না ঠিক করার কথা বলায় এক ব্যক্তিকে আটকের পর তৌহিদী জনতা গিয়ে থানায় তাণ্ডব চালাল, হিযবুত তাহরীর পূর্ব ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার মিছিল করল- এর সঙ্গে ডিপ স্টেট সক্রিয়। তারা চায় এই পরিস্থিতি তৈরি করতে যাতে নির্বাচন না হয়।’ জাহেদ উর রহমান মনে করেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন দ্রুত নির্বাচন দরকার। যদি সরকার নির্বাচন না করে পিছিয়ে দেয় তাহলে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আসলে কাজটি সহজ ও দ্রুত করার জন্য কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এক্সেল শিট তৈর করেছি। সেখানে কোন সুপারিশগুলো তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য সেখানে তারা টিক চিহ্ন দেবেন। কোনগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার সেখানে টিক চিহ্ন দেবেন। আর কোনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় তাও জানা যাবে। এগুলো পেলে আমরা একত্রিত করে তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে, কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা দরকার। সেগুলো নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তারা টিকের বাইরে আলাদাও লিখিত মতামত দিতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু বিষয় আছে যেগুলো সংস্কার করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। কিছু বিষয় আছে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে করতে পারবে। আর কিছু আছে আইনের সংস্কার। সংবিধান সংস্কার করতে হলে তো জাতীয় সংসদ লাগবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কাজ যাতে দ্রুত করা যায় তাই এই পদ্ধতিতে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কারের কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে। সংস্কারের জায়গায় সংস্কার হবে। কোনো কোনো সংস্কারের জন্য তো দীর্ঘ সময় লাগবে। সেজন্য তো নির্বাচন আটকে থাকবে না। তবে নির্বাচন কখন হবে সেটা সরকারের বিষয়। আমাদের কমিশনের বিষয় নয়।’ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স মনে করেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যে ডিসেম্বরের নির্বাচন থেকে শিফট করার চেষ্টা করছেন সেটা নতুন রাজনৈতিক দলের দিকে চেয়ে। ওই দলটির সঙ্গে তিনি সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। নতুন দলের প্রধানের সঙ্গে তাই তার কথার মিল পাওয়া যায়। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের যে আলোচনা শুরুর কথা ছিলো সেটা না করে তারা এখন আমাদের প্রশ্নপত্র পাঠাচ্ছে। ফলে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে সরকার কালক্ষেপণ করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেভাবে ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে সরকার অনেক কিছু সামলাতে পারছে না। এরমধ্যে নির্বাচন পেছানোর দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন চাইলে ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করতে পারে।’

এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক ও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে সময়ক্ষেপণের আয়োজন করা হচ্ছে বলেও মনে করে দলটি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যে লক্ষ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এভাবে চলতে থাকলে সেটি ধীরে ধীরে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তারা ‘নির্বাচন প্রলম্বিত করার’ আয়োজন হিসেবে দেখছেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘অনির্দিষ্ট মেয়াদে’ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মাঠের রাজনীতিতে থাকা বৃহৎ এই দলটি।

সংস্কারের নামে নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হলে নিজেদের করণীয় বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে দলটি। যদিও দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে একাধিকবার বলা হয়েছে, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে পারে। তবে দলটির নেতারা বলছেন, যদি সংস্কারের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া না হয়, তাহলে জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এর ফলে অনেকে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছেন। এখন বলতে শোনা যাচ্ছে নির্বাচন ২০২৬ সালেও যেতে পারে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। এখন আমরা চাই তিনি জাতির সামনে প্রেস কনফারেন্স করে যেন নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। সেটা এই স্বাধীনতার মাসেই চাই। যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আর নতুন রাজনৈতিক দলের প্রধান দ্বিতীয় রিপাবলিকের কথা বলছেন। আমাদের প্রথম রিপাবলিক কার্যকর আছে। ফলে ওটার দরকার নেই। গণপরিষদ নির্বাচন কেন প্রয়োজন? তারা সেটা বুঝছেন কি না জানি না। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব আমাদেরও আছে সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন দরকার। তা না হলে দেশে এখন যে পরিস্থতি চলছে তা আরো খারাপ হবে। তাই সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল যেন মোটিভেটেড হয়ে কোনো বক্তব্য না দেয়। সরকার যেন দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়।

এদিকে, গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব থেকে তৈরি হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশে অভ্যুত্থান হয়নি। তাদের এ ধরনের বক্তব্যকে সতর্কতার সঙ্গে দেখছে বিএনপি। বিশেষ করে, সেকেন্ড রিপাবলিক ও নতুন সংবিধান নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যকে কর্তৃত্ব ধরে রাখার কৌশল বলে মনে করছেন তারা। এসবের পাশাপাশি বিএনপি মনে করছে, সরকারকে ব্যর্থ করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা সর্বোচ্চ মাত্রায় তৎপর রয়েছে। দেশের বাইরে থেকে তারা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে।

যদিও ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, টাইম লাইন যাতে মিস না হয় সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। এএমএম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি। আমাদের টাইম লাইন ডিসেম্বর এটা মাথায় রেখে কাজ করছি। ডিসেম্বরে ভোট হলে অক্টোবরে সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। টাইম লাইন যাতে মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন আসলে আমরা প্রত্যাশা করছি ডিসেম্বরে হবে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি এখন সন্দিহান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হয় কি না। কারণ তার কতগুলো লক্ষণ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক ঐকমত্য। কিন্তু এখন আমরা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা

আপলোড টাইম : ০৯:১০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এরইমধ্যে সাত মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়কের বক্তব্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।

এদিকে, এ মাসেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতদিন ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কথা বললেও গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যথায় নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা ‘রাইট টু ফ্রিডম’ এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম এবং নির্বাহী পরিচালক সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন দানিলোভিচ গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই কথা বলেন।

এর আগে গত বুধবার রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জনগণের নিরাপত্তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারেনি এবং এ বছর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। আমরা যদি এক মাসের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে নির্বাচনের জন্য তৎক্ষণাৎ প্রস্তুত হবো। কিন্তু যদি বেশি সময় লাগে, তাহলে নির্বাচন পেছানো উচিত।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুতই সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের যে টাইমণ্ডটেবিল তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত টাইমণ্ডটেবিল দেখিনি। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে (নির্বাচন) আরো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা জানানো হবে। ফলে ঐকমত্য কমিশনের কাজের কারণে নির্বাচনি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার কারণ নেই। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য জাহেদ উর রহমান মনে করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এবং নতুন দল এনসিপির আহ্বায়কের কথার মধ্যে একটা যোগ সূত্র আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কনটেক্সটটা দেখি তাহলে তা ঘোলাটে। প্রধান উপদেষ্টা এর আগে বলেছেন, যদি ১০টা বিষয়ে সংস্কারে ঐকমত্য হয় তাহলে ১০টা করব। যদি একটার ব্যাপারেও ঐকমত্য না হয় তাহলে কোনো সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন দিয়ে দেব। কিন্তু এখন তার ভাষার মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলছেন, সংস্কার যত দ্রুত শেষ করা যায় তারপর নির্বাচন করব। এখন সমাজে ও রাষ্ট্রে আবার এই ধরনের বয়ান তৈরি হচ্ছে। তারা বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। কেউ বলছে, ভারত ড. ইউনূসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তাই তিন-চার বছরের মধ্যে নির্বাচন ঠিক হবে না। আর নতুন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই সবগুলো কথার মধ্যে একটা সংযোগ আছে।’

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘এখন এই যে মব জাস্টিস হচ্ছে, গুলশানে মব বাড়ি তল্লাশি করছে পুলিশ থামাচ্ছে না, ওড়না ঠিক করার কথা বলায় এক ব্যক্তিকে আটকের পর তৌহিদী জনতা গিয়ে থানায় তাণ্ডব চালাল, হিযবুত তাহরীর পূর্ব ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার মিছিল করল- এর সঙ্গে ডিপ স্টেট সক্রিয়। তারা চায় এই পরিস্থিতি তৈরি করতে যাতে নির্বাচন না হয়।’ জাহেদ উর রহমান মনে করেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন দ্রুত নির্বাচন দরকার। যদি সরকার নির্বাচন না করে পিছিয়ে দেয় তাহলে দেশে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আসলে কাজটি সহজ ও দ্রুত করার জন্য কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে এক্সেল শিট তৈর করেছি। সেখানে কোন সুপারিশগুলো তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য সেখানে তারা টিক চিহ্ন দেবেন। কোনগুলো নিয়ে আলোচনা দরকার সেখানে টিক চিহ্ন দেবেন। আর কোনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় তাও জানা যাবে। এগুলো পেলে আমরা একত্রিত করে তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে, কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা দরকার। সেগুলো নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তারা টিকের বাইরে আলাদাও লিখিত মতামত দিতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘এখানে কিছু বিষয় আছে যেগুলো সংস্কার করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। কিছু বিষয় আছে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে করতে পারবে। আর কিছু আছে আইনের সংস্কার। সংবিধান সংস্কার করতে হলে তো জাতীয় সংসদ লাগবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সংস্কারের কাজ যাতে দ্রুত করা যায় তাই এই পদ্ধতিতে যাচ্ছি। তবে নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কারের কোনো বিরোধ নেই। নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন হবে। সংস্কারের জায়গায় সংস্কার হবে। কোনো কোনো সংস্কারের জন্য তো দীর্ঘ সময় লাগবে। সেজন্য তো নির্বাচন আটকে থাকবে না। তবে নির্বাচন কখন হবে সেটা সরকারের বিষয়। আমাদের কমিশনের বিষয় নয়।’ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স মনে করেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যে ডিসেম্বরের নির্বাচন থেকে শিফট করার চেষ্টা করছেন সেটা নতুন রাজনৈতিক দলের দিকে চেয়ে। ওই দলটির সঙ্গে তিনি সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। নতুন দলের প্রধানের সঙ্গে তাই তার কথার মিল পাওয়া যায়। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের যে আলোচনা শুরুর কথা ছিলো সেটা না করে তারা এখন আমাদের প্রশ্নপত্র পাঠাচ্ছে। ফলে আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে সরকার কালক্ষেপণ করতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেভাবে ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে সরকার অনেক কিছু সামলাতে পারছে না। এরমধ্যে নির্বাচন পেছানোর দুরভিসন্ধি থাকতে পারে। প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন চাইলে ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করতে পারে।’

এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক ও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে সময়ক্ষেপণের আয়োজন করা হচ্ছে বলেও মনে করে দলটি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যে লক্ষ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এভাবে চলতে থাকলে সেটি ধীরে ধীরে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তারা ‘নির্বাচন প্রলম্বিত করার’ আয়োজন হিসেবে দেখছেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘অনির্দিষ্ট মেয়াদে’ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মাঠের রাজনীতিতে থাকা বৃহৎ এই দলটি।

সংস্কারের নামে নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হলে নিজেদের করণীয় বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে দলটি। যদিও দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে একাধিকবার বলা হয়েছে, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে পারে। তবে দলটির নেতারা বলছেন, যদি সংস্কারের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা দেয়া না হয়, তাহলে জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এর ফলে অনেকে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ নিতে পারে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারেও একই কথা বলেছেন। এখন বলতে শোনা যাচ্ছে নির্বাচন ২০২৬ সালেও যেতে পারে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। এখন আমরা চাই তিনি জাতির সামনে প্রেস কনফারেন্স করে যেন নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। সেটা এই স্বাধীনতার মাসেই চাই। যেন কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আর নতুন রাজনৈতিক দলের প্রধান দ্বিতীয় রিপাবলিকের কথা বলছেন। আমাদের প্রথম রিপাবলিক কার্যকর আছে। ফলে ওটার দরকার নেই। গণপরিষদ নির্বাচন কেন প্রয়োজন? তারা সেটা বুঝছেন কি না জানি না। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব আমাদেরও আছে সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত নির্বাচন দরকার। তা না হলে দেশে এখন যে পরিস্থতি চলছে তা আরো খারাপ হবে। তাই সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল যেন মোটিভেটেড হয়ে কোনো বক্তব্য না দেয়। সরকার যেন দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়।

এদিকে, গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্ব থেকে তৈরি হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশে অভ্যুত্থান হয়নি। তাদের এ ধরনের বক্তব্যকে সতর্কতার সঙ্গে দেখছে বিএনপি। বিশেষ করে, সেকেন্ড রিপাবলিক ও নতুন সংবিধান নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যকে কর্তৃত্ব ধরে রাখার কৌশল বলে মনে করছেন তারা। এসবের পাশাপাশি বিএনপি মনে করছে, সরকারকে ব্যর্থ করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা সর্বোচ্চ মাত্রায় তৎপর রয়েছে। দেশের বাইরে থেকে তারা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে।

যদিও ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, টাইম লাইন যাতে মিস না হয় সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। এএমএম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি। আমাদের টাইম লাইন ডিসেম্বর এটা মাথায় রেখে কাজ করছি। ডিসেম্বরে ভোট হলে অক্টোবরে সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। টাইম লাইন যাতে মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছিলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন আসলে আমরা প্রত্যাশা করছি ডিসেম্বরে হবে। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি এখন সন্দিহান, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হয় কি না। কারণ তার কতগুলো লক্ষণ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক ঐকমত্য। কিন্তু এখন আমরা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি।’