ইপেপার । আজ সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় হাইব্রিড তুলার বাম্পার ফলন, ঋণ পাওয়ায় বেড়েছে চাষ

বেশি দামে তুলা বিক্রি করতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি

মিঠুন মাহমুদ:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং হাইব্রিড জাতের ভালো বীজ পাওয়ায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তুলার দাম মণ প্রতি ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

সরকারিভাবে সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রণোদনা এবং উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চলতি মৌসুমে তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষীরা। এছাড়া জেলা ও উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি ফসল ফলাতে সক্ষম হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের তুলা চাষি আনিসুর রহমান জানান, উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ সহায়তা পেয়ে এ বছর তিনি তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে দেড় বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। এ বছর ফলন ও তুলার দাম ভালো থাকায় তিনি ও অন্যান্য তুলা চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের তুলা চাষি রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি, এতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তুলা চাষের জন্য সার, বীজসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ করেছে। কৃষকরা সহজেই ঋণ পাওয়ায় তুলা চাষ করতে পারছে। তুলা বিক্রির পর ঝামেলা ছাড়াই তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি এসব ঋণ ও খরচ বাদ দিয়েও লাভবান হয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ‘গত কয়েক বছর ধরে সরকার নির্ধারিত তুলার দাম মণ প্রতি ২৪০০ টাকা ছিল। এ বছর সরকারিভাবে তুলার দাম ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা হয়েছে। যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে তুলা চাষিরা আরও বেশি লাভবান হবেন এবং তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি মৌসুমে জেলায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য সরকার তুলার মূল্যও বাড়িয়েছে। ১২০০ টাকা বৃদ্ধির ফলে মণ প্রতি তুলার দাম ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা দিনদিন তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’ তিনি জানান, এ বছর চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ তুলা উৎপাদন হবে বলেও আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গায় হাইব্রিড তুলার বাম্পার ফলন, ঋণ পাওয়ায় বেড়েছে চাষ

বেশি দামে তুলা বিক্রি করতে পেরে কৃষকের মুখে হাসি

আপলোড টাইম : ০৯:১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং হাইব্রিড জাতের ভালো বীজ পাওয়ায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তুলার দাম মণ প্রতি ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

সরকারিভাবে সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রণোদনা এবং উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চলতি মৌসুমে তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষীরা। এছাড়া জেলা ও উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি ফসল ফলাতে সক্ষম হয়েছে।

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের তুলা চাষি আনিসুর রহমান জানান, উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ সহায়তা পেয়ে এ বছর তিনি তুলা চাষ করেছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পরামর্শে দেড় বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। এ বছর ফলন ও তুলার দাম ভালো থাকায় তিনি ও অন্যান্য তুলা চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের তুলা চাষি রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি, এতে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তুলা চাষের জন্য সার, বীজসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরবরাহ করেছে। কৃষকরা সহজেই ঋণ পাওয়ায় তুলা চাষ করতে পারছে। তুলা বিক্রির পর ঝামেলা ছাড়াই তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি এসব ঋণ ও খরচ বাদ দিয়েও লাভবান হয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ‘গত কয়েক বছর ধরে সরকার নির্ধারিত তুলার দাম মণ প্রতি ২৪০০ টাকা ছিল। এ বছর সরকারিভাবে তুলার দাম ১২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা হয়েছে। যা কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে তুলা চাষিরা আরও বেশি লাভবান হবেন এবং তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কর্মকর্তা সেন দেবাশীষ বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি মৌসুমে জেলায় তুলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদিত তুলার ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য সরকার তুলার মূল্যও বাড়িয়েছে। ১২০০ টাকা বৃদ্ধির ফলে মণ প্রতি তুলার দাম ৩৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা দিনদিন তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’ তিনি জানান, এ বছর চুয়াডাঙ্গায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ তুলা উৎপাদন হবে বলেও আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।