ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না- মাহমুদ হাসান খান বাবু

তিতুদহে নিহত বিএনপি নেতা রফিকের বাড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি

শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা, কবর জিয়ারত

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী ও তিতুদহ:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রফিকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘তিতুদহ ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিকের মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলীয়ভাবে এবং প্রচলিত আইনের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় ব্যক্তিগতভাবে বহন করা হবে।’ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেলা বিএনপি সভাপতি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রফিকের কবর জিয়ারত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোকন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়েন উদ্দিন, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, আবুল মুহিত, দপ্তর সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বিলু, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশাবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্যসচিব জালাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুজ্জামান শামিম, সরোয়ার হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপি নেতা খেদু, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাজী খলিলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

এদিকে, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিকের মৃত্যুতে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শোকের মাতম নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, সন্ধ্যার পর অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিহতের বাড়িতে দিনভর শোক জানাতে ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না- মাহমুদ হাসান খান বাবু

তিতুদহে নিহত বিএনপি নেতা রফিকের বাড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি

শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা, কবর জিয়ারত

আপলোড টাইম : ১০:০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রফিকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘তিতুদহ ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিকের মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দলীয়ভাবে এবং প্রচলিত আইনের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় ব্যক্তিগতভাবে বহন করা হবে।’ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেলা বিএনপি সভাপতি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রফিকের কবর জিয়ারত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খোকন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়েন উদ্দিন, দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, দর্শনা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম যুদ্ধ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, আবুল মুহিত, দপ্তর সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বিলু, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশাবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরজ আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্যসচিব জালাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুজ্জামান শামিম, সরোয়ার হোসেন, দর্শনা পৌর বিএনপি নেতা খেদু, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাজী খলিলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।

এদিকে, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রফিকের মৃত্যুতে তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শোকের মাতম নেমে এসেছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, সন্ধ্যার পর অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিহতের বাড়িতে দিনভর শোক জানাতে ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা।